গোলাম আযম, কাদের মোল্লার ছবি মুছে দিলো হল প্রশাসন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে পদদলিত করতে জামায়াতে ইসলামীর বিতর্কিত নেতা গোলাম আযম, যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত কাদের মোল্লা ও মতিউর রহমান নিজামীর ছবি আঁকা হয়েছিল। তবে হল প্রশাসন হলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ছবিগুলো মুছে দিয়েছে। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে হলের বিভিন্ন প্রবেশমুখে ছবিগুলো আঁকা হয়। ছবির রং শুকানোর পর ১৪ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে এগুলো পদদলিত করার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ছবিগুলো মুছে দেয় হল প্রশাসন। আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা  বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে শিক্ষার্থী-সাধারণ মানুষের ঢল  শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সর্বস্তরের মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ  এ বিষয়ে জগন্নাথ হল সংসদের ভিপি পল্লব বর্মণ জাগো নিউজকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জগন্নাথ হল। ১৪ ডিসেম্বর এই হলের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছে। আমরা সেই ১৪ ডিসেম্বর স্মরণে ‘তুলির আঁচড়ে দ্রোহ’ নামে একটি কর্মসূচির আয়োজন করি। ঐ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা এই ছবিগুলো এঁকেছিল। ছবি কেন মুছে দেওয়া হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, হল প্র

গোলাম আযম, কাদের মোল্লার ছবি মুছে দিলো হল প্রশাসন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে পদদলিত করতে জামায়াতে ইসলামীর বিতর্কিত নেতা গোলাম আযম, যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত কাদের মোল্লা ও মতিউর রহমান নিজামীর ছবি আঁকা হয়েছিল। তবে হল প্রশাসন হলের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ছবিগুলো মুছে দিয়েছে।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে হলের বিভিন্ন প্রবেশমুখে ছবিগুলো আঁকা হয়। ছবির রং শুকানোর পর ১৪ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে এগুলো পদদলিত করার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। কিন্তু সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ছবিগুলো মুছে দেয় হল প্রশাসন।

আরও পড়ুন:

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা 

বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে শিক্ষার্থী-সাধারণ মানুষের ঢল 

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সর্বস্তরের মানুষের ফুলেল শ্রদ্ধায় স্মরণ 

এ বিষয়ে জগন্নাথ হল সংসদের ভিপি পল্লব বর্মণ জাগো নিউজকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জগন্নাথ হল। ১৪ ডিসেম্বর এই হলের জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছে। আমরা সেই ১৪ ডিসেম্বর স্মরণে ‘তুলির আঁচড়ে দ্রোহ’ নামে একটি কর্মসূচির আয়োজন করি। ঐ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা এই ছবিগুলো এঁকেছিল।

ছবি কেন মুছে দেওয়া হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, হল প্রশাসন আমাদের সিকিউরিটি কনসার্নের দোহায় দিয়ে ছবিগুলো মুছে দিয়েছে। তাদের এই সিদ্ধান্তকে আমরা প্রত্যাখ্যান করি। হল সংসদ অতি দ্রুত এই কাজের হল প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে বলবে।

তবে কি ধরনের নিরাপত্তা শঙ্কায় ছবি মুছে দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল বলেন, হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরাই এটা করেছে এবং তা সম্পূর্ণই হল প্রশাসনের অজান্তেই করা হয়েছে। পরবর্তীতে, যেহেতু বিগত সময়ে কখনোই ১৪ ডিসেম্বর বা শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনে এরকম কোনো কিছুই করা হয়নি তাই কর্তৃপক্ষ প্রতীকী চিত্রগুলো মুছে ফেলেছে।

এফএআর/এসএনআর/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow