গোসল ফরজ অবস্থায় সদকা করলে সওয়াব হবে কি?

3 months ago 45

গোসল ফরজ অবস্থায় নামাজ পড়া, মসজিদে প্রবেশ করা বা অবস্থান করা এবং কোরআন তিলাওয়াত করা নিষিদ্ধ। অন্যান্য নেক কাজ গোসল ফরজ অবস্থায়ও করা যায়। গোসল ফরজ অবস্থায় দান-সদকা করা জায়েজ ও সওয়াবের কাজ। গোসল ফরজ অবস্থায় সদকা করলে সওয়াব কম পাওয়ার কোনো কারণ নেই।

গোসল ফরজ অবস্থায় দোয়া-দরুদ, জিকির, তাসবিহ পড়া জায়েজ। কোরআনে উল্লিখিত দোয়াগুলোও পড়া জায়েজ। মা’মার (রহ.) বলেন, আমি ইমাম জুহরিকে (রহ.) জিজ্ঞাসা করলাম, যার উপর গোসল ফরজ সে কি আল্লাহর জিকির করতে পারবে? তিনি বললেন, হ্যাঁ, পারবে। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, কোরআন তিলাওয়াত করতে পারবে? তিনি বললেন, না। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)

ইবরাহিম নাখঈ (রহ.) বলেন, গোসল ফরজ হওয়া ব্যক্তিরা আল্লাহর জিকির করতে পারবে এবং বিসমিল্লাহও পড়তে পারবে। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক)

গোসল ফরজ হলে দ্রুত গোসল করে নেওয়া উত্তম। অযথা বিলম্ব করা উচিত নয়। ফরজ গোসল করতে দেরি করার কারণে নামাজের জামাত বা নামাজ ছুটে গেলে গুনাহ হবে। তবে কোনো ফরজ-ওয়াজিব না ছুটলে শুধু ফরজ গোসল করতে বিলম্ব করার কারণে গুনাহ হবে না। কোনো অসুবিধার কারণে ফরজ গোসল করতে দেরি হলে অজু করে নেওয়া উত্তম।

যেসব কারণে গোসল ফরজ হয়

১. পুরুষ অথবা নারী ঘুমন্ত বা জাগ্রত অবস্থায় যে কোনো কারণে উত্তেজনার সাথে বীর্যপাত হলে গোসল ফরজ হয়ে যায়।
২. স্বপ্নদোষ হলে ঘুম থেকে ওঠার পর যদি কাপড়ে বীর্যের চিহ্ন দেখা যায় তাহলে গোসল করতে হবে।
৩. স্বামী স্ত্রী শারীরিকভাবে মিলিত হলে গোসল ফরজ হয়ে যায়। মিলন প্রাথমিক অবস্থায় থাকলেও বা বির্যপাত না হলেও গোসল ফরজ হয়ে যায়।
৪. নারীদের মাসিক বা হায়েজ শেষ হলে গোসল করে পবিত্র হতে হয়।
৫. নারীদের নেফাস বা সন্তান জন্মদান পরবর্তী রক্তপাত বন্ধ হওয়ার পর গোসল করে পবিত্র হতে হয়।

ওএফএফ/জেআইএম

Read Entire Article