গ্রামীণ গালাগালিতেও কেন জানি প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাই

4 months ago 75

এক দেশের গালি, আরেক দেশের বুলি। দেশে থাকতে এই বিষয়টা বেশ টের পেয়েছিলাম। গ্রামে অবলীলায় আমরা এমন অনেক শব্দ বলতাম যেটা শহরের মানুষের কাছে গালি বলে প্রতীয়মান হয়। গ্রামে এক একটা পাড়া এক একটা একান্নবর্তী পরিবারের মতো। এখানে সবাই সবাইকে মোটামুটি চেনে এবং জানে।

এখানে পাড়া প্রতিবেশী হিসাবে সবাই সবার সাথে কোনো না কোনোভাবে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। এমনকি যার সাথে দূর দূরান্তের কোনো রক্তের সম্পর্ক নেই তার সাথেও কোনো না কোনোভাবে সম্পর্ক দাঁড়িয়ে যায়। আমার কাছে এটাকেই গ্রামের আসল সৌন্দর্য বলে মনে হয়। এখানে সবাই অযাচিতভাবে যেটাকে শহরের মানুষ বলে গায়ে পড়ে অন্যদের খোঁজ খবর নেই।

পাড়া সম্পর্কে আমার দাদা ছিলেন অনেকেই কারণ পুরো পাড়াজুড়েই ছিল দাদির সব চাচাতো ভাইদের বসবাস। তারা আমাকে দেখলেই চিৎকার করে বলে উঠতেন, ‘কিরে শালা দুলাভাই বল।’ বলেই আসতে করে কানমলা দিয়ে আদর করে দিতেন। আমরা তিন ভাই হওয়াতে একদিন প্রশ্ন করে বসলাম, আচ্ছা এই যে আমাকে শালা বলেন, আমার তো কোনো বোন নেই। উত্তর শুনে তারা হেসেই কুটিকুটি। আমাকে বললেন, ‘শালার তো দেখি বুদ্ধি খুলে গেছে, আপন বোন নাই তো কি হয়েছে, চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুপাতো বোন তো আছে।’

গ্রামীণ গালাগালিতেও কেন জানি প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাই

আমি আর এর কোনো উত্তর দিতে পারিনি। আবার মাঝে মাঝে বলতেন, ‘শালা দুলাভাই বল, তাহলে চকলেট দিবনে।’ আমি বলতাম, আগে কিনে দেন তারপর বলবো। এভাবেই সারাক্ষণ খুঁনসুঁটি চলতো তাদের সঙ্গে।

তাদের স্ত্রীরা মানে দাদিরাও কম যেতেন না। আমাকে দেখলেই বলতেন, ‘কি লো মিনসে, বউ নিবি না।’ এর উত্তরে আমি একবার বললাম, ‘আমি তো ছোট এখন বিয়ে করবো কীভাবে?’ এ কথা শুনে তো দাদিরা হাসতে হাসতে একজন আরেকজনের গায়ে ঢলে পড়ে আর বলে, উরে বাবা, মিনসের দেখি বুদ্ধি হয়ে গেছে। গত বছর যখন দেশে গিয়ে দাদিদের সাথে দেখা হলো তখন আমাকে দেখে বললেন, ওরে আমার মিনসে তুই তো দেখি সত্যিই বড় হয়ে গেছিস। এখন কি আর আমাদের মতো বুড়ি বউ পছন্দ হবে রে। তোর মনে আছে ছোট বেলায় বলেছিলি, বড় হয়ে বিয়ে করবি। সে কথা শুনে আমরা সবাই একসাথে হেসে উঠলাম। দাদির সাথে উঠোনের মাটির চুলার পাশে বসে অনেকদিন পর গল্প করলাম। মনে হলো যেন ধড়ে প্রাণ ফিরে পেলাম।

গ্রামীণ গালাগালিগুলাতেও আমি কেন জানি প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাই। আবার সবাইকে সব গালি দেওয়াও যায় না। সম্পর্কের প্রকারের ওপর গালির ধরণ বদলে যায়। তবে একটা শব্দ আমাদের কুষ্টিয়ার ছোটন কাকুর বদৌলতে ভদ্র সমাজের ড্রয়িং রুমেও পৌঁছে গেছে। সেটা হলো, ছোটন কাকুকে এক শীতের সকালে কোনো এক টিভি রিপোর্টার জিজ্ঞেস করলেন, শীত কেমন পড়ছে। ছোটন কাকু উত্তর দিনের, শীতের চোদনে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। ব্যস আমাদের অকালপক্ক গণমাধ্যম আর অসামাজিক সামাজিক মাধ্যম ছোটন কাকুকে নিয়ে পড়লেন।

গ্রামীণ গালাগালিতেও কেন জানি প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাই

আমি নিশ্চত করেই বলতে পারি ছোটন কাকুকে নিয়ে বাংলাদেশে যত ‘মিম’ বানানো হয়েছে এতটা আর কাউকে নিয়ে বানানো হয়নি। কিন্তু আমরা যারা কুষ্টিয়ার গ্রামের মানুষ তারা জানি ছোটন কাকু ভুল কিছুই বলেননি।

বিষয়টা একটু ব্যাখ্যা করা জরুরি বলে মনে করছি। বাংলাদেশে ‘গালি অভিধান’ নামে একটা বই আছে। বইটি প্রকাশ করেছে বিখ্যাৎ প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্য। প্রকাশকাল ফেব্রুয়ারি ২০১৪। আব্দুল মান্নান স্বপন সংকলিত এবং সম্পাদিত এই বইটিতে ‘চোদন’ এর অর্থ হচ্ছে প্রহার, শাস্তি, রমণ। বইয়ের ভাষার এই সকল অর্থ ছাড়াও কুষ্টিয়া অঞ্চলে এটি আরও অনেক অর্থে ব্যবহৃত হয়। প্রথমত এটি ব্যবহৃত হয় প্রচন্ডতা বুঝাতে। যেটা ছোটন কাকু বলেছিলেন, শীতের তীব্রতায় (চোদনে) দাঁড়ানো যাচ্ছে না।

আমার দাদির কাছ থেকে একটা বহুল প্রচলিত প্রবাদ শুনতাম প্রায়শই। চোদনের নাম কুমড়ো বড়ি। এর অর্থ হচ্ছে, প্রচন্ড পরিশ্রমের নাম কুমড়ো বড়ি। আমি অভিজ্ঞতায় দেখেছি কুমড়ো বড়ি দেওয়া একটা অত্যন্ত পরিশ্রমসাধ্য কাজ। কলাই একটা মাটির চাড়িতে সারারাত ধরে ভিজিয়ে রাখা হয়। পাশাপাশি সাদা পাকা চাল কুমড়োর পুরোটা মাংশ ঝিনুক দিয়ে অত্যন্ত যত্নসহকারে কুড়ে সেটাকে একটা পরিষ্কার কাপড়ে বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় রস পুরোটা বের হয়ে যাওয়ার জন্য। ব্যাপারটা অনেকটা ময়রাদের ছানা শুকানোর মতো।

এরপর ফজরের আজানেরও আগে ঘুম থেকে উঠে পড়তে হয়। ভিজে ফুলে উঠা কলাই মাটির চারির দেয়ালের সাথে ঘষে ঘষে চোকলা থেকে দানাগুলোকে আলাদা করা হয়। তারপর সেই দানা এবং শুকিয়ে যাওয়ার কুমড়োর মাংশ শিলপাটাতে খুবই মিহি করে বাটা হয়। এমনভাবে বাটা হয় যেন কোনো প্রকার দানা না থাকে। এরপর সেটাকে মাটির বা টিনের গামলায় নিয়ে বাঁশের তৈরি চরাটের ওপর ছোট ছোট পিরামিডের আকারে বসানো হয়।

এটাতো গেলো বসানোর প্রক্রিয়া। এটা শুকানো আরেক ঝক্কির কাজ। দিনের বেলার সূর্যের আলোতে দেওয়া হয়। আর রাতের বেলায় কুয়াশার হাত থেকে বাঁচানোর জন্য ঘরের মধ্যে এনে রাখা হয়। আবার এগুলো কাকের অত্যন্ত পছন্দের খাবার। তাই একজন মানুষকে একটা লাঠি বা কাঠি হাতে নিয়ে বসে সারাক্ষণ পাহারা দিতে হয়। এই জন্যই ওপরের প্রবাদটা চালু হয়েছে।

এতো গেলো একই এলাকার মধ্যে ব্যাপার। বিভিন্ন জেলার ভাষার মধ্যেও অনেক তারতম্য আছে। টেলিকম কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে বাংলাদেশের প্রায় সবগুলো জেলায় যাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছিল। তখন বেশ কিছু বিষয় জেনেছি। আমরা কুষ্টিয়ায় পুরি বলতে বুঝি এক ধরনের খাবার। বিকেলবেলা দোকান থেকে পুরি কিনে এনে চায়ের সাথে খাওয়া একটা অতি পুরোনো অভ্যাস। কিন্তু সেই একই পুরির অর্থ সিলেট অঞ্চলে ভিন্ন।

সেখানে ফুরি মানে কন্যা, মেয়ে মানুষ। কুষ্টিয়ায় আমরা পেয়ারাকে পেয়ারা নামেই চিনি কিন্তু চট্টগ্রামে পেয়ারাকে বলা হয় গোয়াছি। মজার ব্যাপার হচ্ছে গোয়া আবার কুষ্টিয়া অঞ্চলে অন্য অর্থ বহন করে। এখানে গোয়া বা গুহ্যদ্বার। আবার রাজশাহীতে বন্ধু বান্ধবকে আদর করে বকা অর্থে ডাকা হয় মামুর ব্যাঠা।

এত গেলো দেশের কথা। এবার আসি দেশের বাইরে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ‘বাল’ বলে গালি দেয়নি এমন ছাত্রছাত্রী একজনও খুঁজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু অফিসে তো আর সেটা ব্যবহার করতে পারি না। তখন বলতে শুরু করলাম ‘চুলের হিন্দি’।

গ্রামীণ গালাগালিতেও কেন জানি প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পাই

অস্ট্রেলিয়ায় এসে দেখলাম এখানেও শহর এবং গ্রামের ভাষার এই তফাৎটা খুবই সূক্ষ্মভাবে বিদ্যমান। যারা অফিসে কাজ করেন তারা মোটামুটি শুদ্ধ ভাষাতেই কথা বলার চেষ্টা করেন। কিন্তু যারা সাইটে কাজ করেন তাদের ভাষাটা অনেক র বা আদিম। অফিসে সাধারণত এফ ওয়ার্ড ব্যবহার করায় হয় না। সেখানে সাইটে প্রত্যেকটা শব্দের আগে খুবই স্বাচ্ছন্দ্যে এফ ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়।

এটা এমন না যে কাউকে বকা দিতে এটা ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা আসলে সাধারণ কথাবার্তারই অংশ হয়ে গেছে। অফিসের লোকজন ইংরেজি এইচ’কে এইচ’ই উচ্চারণ করেন কিন্তু সাইটের লোকজন এইচ’কে উচ্চারণ করেন হেইচ। এটা দিয়ে খুবই সূক্ষ্মভাবে শিক্ষিত এবং অশিক্ষিতের পার্থক্যও করা যায়।

অস্ট্রেলিয়ায় গালি হিসাবেও এফ ওয়ার্ড ব্যবহার করা হয় তবে সেটা উচ্চারণের স্বরই আলাদা। এছাড়াও মাদার ফাকার ব্যবহার করা হয় গালি হিসাবে যেটা বাংলাদেশের বহুল ব্যবহৃত গালি মাদার চোদ এর ইংরেজি রূপ বলেই আমার কাছে মনে হয়। এছাড়াও ডিক হেড, বুল শিট, এসহোল খুবই পরিচিত গালি বা রাগ প্রকাশের মাধ্যম। মজার ব্যাপার হচ্ছে অন্যদিকে এই গালির শব্দগুলোই ব্যবসার অন্যতম ব্র্যান্ড।

ডিক স্মিথ অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম পরিচিত চেইন আউটলেট। এছাড়াও ডিকিস নামে আছে বিখ্যাৎ কাপড়ের ব্র্যান্ড। পাথরের ব্যবসার দোকানের নাম করা হয় দিক স্টোন। আমাদের দেশে নাপিতকে নাপিত ডাকা হয় না, ভদ্রলোকেরা অবশ্য সেলুনে যান। কিন্তু এখানে খুবই গর্বের সাথে দোকানের নাম রাখা হয় অমুক বারবার। বিভিন্ন খেলার দলের নামগুলো আরও মজার। বুল ডগ, ড়্যাবিথোস, রুস্টার এগুলো খুবই পরিচিত নাম। রাস্তার নামেও এমন ব্যাপার আছে, যেমন - কাউয়ার্ড স্ট্রিট। অন্যদিকে মানুষের বংশের উপাধিগুলোও মজার, যেমন - স্ট্যাপলস, স্মিথ, কার্পেন্টার।

এছাড়াও অস্ট্রেলিয়ানদের স্বভাব হচ্ছে সবকিছুই সহজে এবং ছোট করে বলা। যেমন চেইনশপ উলর্থ এখানে হয়ে গেছে উলিস। এমনকি প্রত্যেক মানুষেরই একটা ডাক নাম আছে। যেমন আমার বসের নাম ডেভিড সিম্পসন কিন্তু আমরা ডাকি সিমো বলে। ঠিক একইভাবে মাইকেল হয়ে যায় মিক এনজিনিস হয়ে যায় এন্জি। এছাড়াও পেশার নামও ছোট করে বলা হয়। যেমন যারা ইটের কাজ করেন তাদের বলা হয় ব্রিকি যেটা আসলে ব্রিক ওয়ার্কারের সংক্ষিপ্ত রূপ।

ব্রেকফাস্ট থেকে ব্রেকি, আফটারনুন থেকে আরভো, এভোক্যাডো থেকে এভো, বার-বি-কিউ থেকে বার্বি, ম্যাকডোনাল্ডস থেকে ম্যাকাস এমন অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়। কেউ যদি জিজ্ঞেস করে হাউ-আ-ইউ তাহলে আপনাকে বুঝে নিতে হবে সে বলছে হাউ আর ইউ। এখানে পরিচিত অপরিচিত সকল বন্ধু হয়ে গেছে মেট। আর সবচেয়ে পরিচিত শব্দ হলো নো ওরিস যেটা আসলে আমরা ধন্যবাদের প্রতি উত্তরে ব্যবহার করি। এখানে দ্যাটস রাইট বা মাই প্লেজার না বলে নো ওরিস বলা হয়। আর অস্ট্রেলিয়ানরা কষ্ট করে নিজেদের অস্ট্রেলিয়ান না বলে বলে অজি।

মজার ব্যাপার হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার এসব বহুল প্রচলিত শব্দ ভান্ডারকে বলা হয় স্ল্যাং যার সহজ বাংলা কিন্তু গালি। তার মানে বিষয়টা দাঁড়াচ্ছে সব দেশেই আসলে কথ্য ভাষার একটা আলাদা রূপ আছে। লেখার সময় প্রমিত শব্দ লিখলেও বলার সময় সেগুলোতে কেটে ছেঁটে সহজ করে নেওয়া হয়। অস্ট্রেলিয়ানরা এইসব শব্দ হরহামেশাই ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু আমাদের দেশে কথ্য ভাষার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন এলাকায় এমনকি অশিক্ষিত, মূর্খ, গোঁয়ার আখ্যা দেওয়া হয়।

এমন শিক্ষিত ভদ্র, সভ্য সমাজ বোধহয় পৃথিবীর আর কোনো দেশে নেয়। অস্ট্রেলিয়ায় সব কাজকেই সমান মর্যাদা দেওয়া হয়। হোক সেটা মেথরের কাজ (প্লাম্বিং) বা নাপিতের কাজ (বারবার)। মজার ব্যাপার হচ্ছে এইসব কায়িক শ্রমের কাজের ঘণ্টাপ্রতি মজুরিও আমাদের ভাষায় অনেক ভদ্র কাজ থেকে বেশি।

আসলে ভাষা নয় মানুষকে বিচার করতে হয়ে শুধুমাত্র একজন মানুষ হিসাবেই। সে সাদা না কালো, স্বদেশি না বিদেশি, শিক্ষিত না অশিক্ষিত, পাগল না ভালো এগুলো অনেক পরের বিষয়। কারণ প্রত্যেকটা মানুষই নিজ বৈশিষ্ট্যে সমুজ্জ্বল একজন আলাদা সত্ত্বা বা ব্যক্তিত্ব। তার পৃথিবীকে দেখার দৃষ্টভঙ্গিটাও হবে অবধারিভাবেই আলাদা। আর তার জীবনের চলার পথ এবং অভিজ্ঞতাও নিশ্চয় আলাদা যা তাকে দিনেদিনে তৈরি করেছে। সমগ্র পৃথিবী আমার কাছে তাই একটা একান্নবর্তি পরিবার মনে হয়।

আমরা সবাই একই পৃথিবীতে বাস করি। তাই এখানে কাউকে বাদ দিয়ে অন্য কেউ দীর্ঘ সময় ভালো থাকতে পারবে না। বিশ্বের মোড়ল রাষ্ট্র তার নিজের অস্ত্রের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য যুদ্ধকে হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছে। কিন্তু সেটা সে দেশের সাধারণ মানুষ মেনে না নিয়ে ভাষা, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে রাস্তায় নেমে এসেছে।

আশাকরি একদিন এই পৃথিবী থেকে এইসব ব্যবধান উঠে যাবে। পৃথিবীতে উড়বে শান্তি, সুখের সাদা কবুতর। যেখানে ভাষার ভিন্নতা দিয়ে মানুষকে বিচার করা হবে না। বরং ভাষার বৈচিত্র্যকে রক্ষা করে একটা সুষম সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

এমআরএম/এমএস

Read Entire Article