মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের আগেই তার পুরোনো বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করেছেন। আলোচিত এ প্রেসিডেন্ট গ্রিনল্যান্ডের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে চান। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য গ্রিনল্যান্ড দখল করা ‘খুবই প্রয়োজন’।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহের পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, বিশ্বের সর্ববৃহৎ দ্বীপ গ্রিনল্যান্ড। এটি ভূরাজনৈতিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের মাঝখানে অবস্থিত। এর কৌশলগত সামুদ্রিক এলাকা গ্রিনল্যান্ড-আইসল্যান্ড-যুক্তরাজ্য অঞ্চলের অংশ। যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য এ দ্বীপ গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে রাশিয়া থেকে হামলা ঠেকাতে।
দ্বিতীয়ত, গ্রিনল্যান্ড প্রাকৃতিক সম্পদের সমৃদ্ধ ভান্ডার। এতে রয়েছে তেল, গ্যাস এবং পৃথিবীর বিরল কিছু ধাতু, যেগুলোর চাহিদা বৈদ্যুতিক গাড়ি, বায়ুকল এবং সামরিক সরঞ্জাম উৎপাদনে বাড়ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখানে বরফ গলছে, যা এই সম্পদগুলোর সহজে আহরণের সুযোগ তৈরি করতে পারে।
তৃতীয়ত, গ্রিনল্যান্ডের ওপর চীনের ক্রমবর্ধমাণ প্রভাবের কারণে ট্রাম্প ও তার উপদেষ্টারা উদ্বিগ্ন। কারণ এই খনিজ সম্পদগুলি চীন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। এর ফলে, গ্রিনল্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এ ছাড়া, পূর্ববর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্টরা গ্রিনল্যান্ড কেনার চেষ্টা করেছেন, যদিও তা সফল হয়নি। ১৮৬৭ সালে প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড্রু জনসন গ্রিনল্যান্ড কেনার কথা ভাবেন, আবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যানও ডেনমার্ককে ১০ কোটি ডলার দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন।
তবে ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহের ব্যাপারে সঠিক উদ্দেশ্য ও পরিকল্পনা এখনো স্পষ্ট নয়। এটি এক ধরনের সাহসিকতা প্রদর্শন বা কোনো ক্ষমতার হুমকি হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
তথ্যসূত্র : সিএনএন