ঘরে তল্লাশির সময় নারীর অন্তর্বাস চুরি, কারাগারে পুলিশ কর্মকর্তা

3 hours ago 2

যুক্তরাজ্যে গৃহতল্লাশির সময় কর্তব্যরত অবস্থায় এক নারীর অন্তর্বাস চুরির অভিযোগে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত মার্সিন জিলিনস্কি (৪৭) নামে ওই কর্মকর্তা গত বছরের সেপ্টেম্বরে এমন কাণ্ড করে বসেন। আর সেটি ধরা পড়ে ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভিতে। সোমবার (১৮ আগস্ট) কেমব্রিজ ক্রাউন কোর্ট ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে চার মাসের কারাদণ্ড দেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জিলিনস্কি হার্টফোর্ডশায়ার পুলিশে কর্মরত ছিলেন। ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর স্টিভেনেজ এলাকায় সেকশন ৩২ অনুযায়ী একটি বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন তিনি। একপর্যায়ে তিনি নারীর ব্যক্তিগত ড্রয়ার ঘাঁটার সময় অন্তর্বাস নিয়ে নিজের পকেটে ঢুকিয়ে দেন। ভুক্তভোগী লিয়া-অ্যান সুলিভান (২৭) তখন ওই বাসায় ছিলেন ও আলাদা একটি মামলায় গ্রেফতার হন ও পরে জামিনে ছাড়া পান।

“Hatfield Policeman Stole my Knickers”

“While I was in the cells my house was
searched and pc marcin zielinski went in
to my underwear draw and picked a pair
of my underwear that he wanted and put
them in his back pocket away from his
body cam but my ring cam caught him” pic.twitter.com/7xy1P3vDsO

— WeGotitBack (@NotFarLeftAtAll) August 19, 2025

তদন্ত চলাকালেই গত নভেম্বর মাসে জিলিনস্কি পুলিশ বিভাগ থেকে পদত্যাগ করেন। আদালতে তিনি একাধিক অভিযোগ স্বীকার করেন, যার মধ্যে ছিল চুরির অভিযোগ এবং পুলিশ ক্ষমতা ও দায়িত্বের অপব্যবহার।

হার্টফোর্ডশায়ার কনস্ট্যাবুলারির সহকারী প্রধান কনস্টেবল জেনা টেলফার বলেন, জিলিনস্কি শুধু হার্টফোর্ডশায়ারের জনগণকেই নয়, বরং পুরো পুলিশ বাহিনীকে কলঙ্কিত করেছেন। তার এই আচরণ পেশাদারিত্ব ও সততার মৌলিক মূল্যবোধের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

ভুক্তভোগী সুলিভান এক সাক্ষাৎকারে জানান, এ ঘটনায় তিনি প্রায় এক বছর ধরে মানসিক কষ্ট ও নিদ্রাহীনতায় ভুগছেন। আমি কেঁদেছি, হেসেছি, রাগ করেছি- সবই করেছি। এখনো ভাবতে থাকি, তিনি অন্তর্বাসগুলো কেন নিয়েছিলেন, কী করার জন্য নিয়েছিলেন, অন্য নারীদের সঙ্গেও কি তিনি এমন করেছেন?

তিনি আরও বলেন, তার শাস্তি যথেষ্ট মনে হচ্ছে না। তবে আইন অনুযায়ী জেলে যাওয়া তার প্রাপ্য। এটা শুধু আমার ব্যাপার নয়- যেসব মানুষ নিজেদের পক্ষে লড়তে পারেন না, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী বা ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছেন, তাদের সুরক্ষা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ

Read Entire Article