ঘরে বসেই প্রতিমাসে আয় দেড় লাখ রিয়াদ-শাকিলা দম্পতির

ঘরে বসেই অনলাইনে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় করছেন রিয়াদ-শাকিলা দম্পতি। শুরুটা অনেক সংগ্রামের হলেও ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে রিয়াদ-শাকিলা দম্পতি আজ সফল। তাদের দেখে অন্যরাও আগ্রহী হচ্ছেন এ কাজে। এতে প্রশংসনীয় হচ্ছেন এই দম্পতি। অনেকের কাছে এখন অনুপ্রেরণার নামও রিয়াদ ও শাকিলা। জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ির হরিণাথপুর ইউনিয়নের তালুক-জামিরার প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক সেলিম বেপারির ছেলে রিয়াদ হাসান। পরিবারের অসচ্ছলতা ঠেকাতে লেখাপড়ার পাশাপাশি দেড় বছর ঢাকার একটি গার্মেন্টস কোম্পানির পোশাক শ্রমিক হিসেবে চাকরি করতেন। করোনার সময় চাকরি চলে যাওয়ায় বেকার হলে সহধর্মিণী সাবিয়া সুলতানা শাকিলার পরামর্শে অনলাইনে আয় করার লক্ষ্যে ইউটিউব এসইও ও কনটেন্ট এসইও (SEO) কোর্স করে পটু হয়ে নিজে শুরু করেন অনলাইনে আয়। এরপর চাপ বেশি হওয়ায় সহধর্মিণীকেও শেখান এ কাজ। তারপর থেকে পিছু ফিরতে হয়নি তাদের। প্রতিমাসে এক থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় করেন এ দম্পতি। সেই অর্থ দিয়ে দুই ভাই, বাবা-মা ও তার নিজের সংসার চালান। এ ছাড়া তিনি গ্রামে একটি ৮৮ শতক জমি কিনে পুকুর তৈরি করে মাছ চাষ পুকুরের পাশে শাকসবজি ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়েছেন। প্র

ঘরে বসেই প্রতিমাসে আয় দেড় লাখ রিয়াদ-শাকিলা দম্পতির

ঘরে বসেই অনলাইনে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় করছেন রিয়াদ-শাকিলা দম্পতি। শুরুটা অনেক সংগ্রামের হলেও ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে রিয়াদ-শাকিলা দম্পতি আজ সফল। তাদের দেখে অন্যরাও আগ্রহী হচ্ছেন এ কাজে। এতে প্রশংসনীয় হচ্ছেন এই দম্পতি। অনেকের কাছে এখন অনুপ্রেরণার নামও রিয়াদ ও শাকিলা।

জানা যায়, গাইবান্ধার পলাশবাড়ির হরিণাথপুর ইউনিয়নের তালুক-জামিরার প্রত্যন্ত গ্রামের কৃষক সেলিম বেপারির ছেলে রিয়াদ হাসান। পরিবারের অসচ্ছলতা ঠেকাতে লেখাপড়ার পাশাপাশি দেড় বছর ঢাকার একটি গার্মেন্টস কোম্পানির পোশাক শ্রমিক হিসেবে চাকরি করতেন। করোনার সময় চাকরি চলে যাওয়ায় বেকার হলে সহধর্মিণী সাবিয়া সুলতানা শাকিলার পরামর্শে অনলাইনে আয় করার লক্ষ্যে ইউটিউব এসইও ও কনটেন্ট এসইও (SEO) কোর্স করে পটু হয়ে নিজে শুরু করেন অনলাইনে আয়।

এরপর চাপ বেশি হওয়ায় সহধর্মিণীকেও শেখান এ কাজ। তারপর থেকে পিছু ফিরতে হয়নি তাদের। প্রতিমাসে এক থেকে প্রায় দেড় লাখ টাকা আয় করেন এ দম্পতি। সেই অর্থ দিয়ে দুই ভাই, বাবা-মা ও তার নিজের সংসার চালান। এ ছাড়া তিনি গ্রামে একটি ৮৮ শতক জমি কিনে পুকুর তৈরি করে মাছ চাষ পুকুরের পাশে শাকসবজি ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগিয়েছেন। প্রতি ছয় মাস পর পর সেই পুকুরের মাছ চাষ থেকে ১ লাখ টাকা আয় করছেন।

এ ছাড়া রিয়াদ শুধু নিজের সহধর্মিণীকেই অনলাইনে আয় করতে শেখাননি, বর্তমানে তিনি দিনে প্রায় অর্ধশতাধিক বেকার যুবকদের শেখাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিং। সামান্য মোবাইল দিয়েই ডিজিটাল মার্কেটিং ও ইউটিউব কপিরাইট কনটেন্ট -এর কাজে পারদর্শী করে আয় করতে শেখাচ্ছেন। এতে অনেক বেকার যুবকেরা তাদের মতো ঘরে বসে অনলাইনে আয় করতে শিখছেন। এসব যুবক তার এই সহযোগিতার জন্য এলাকায় কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করছেন। 

ঘরে বসে থেকে শুধু এ দম্পতি টাকা উপার্জন করে না মাঝে-মাঝে গাইবান্ধার বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ভ্রমণও করেন। এ ছাড়া রিয়াদ সময় পেলে পথশিশুদের সঙ্গে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন এবং সহযোগিতা করেন।

রিয়াদ কালবেলাকে বলেন, ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনা একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা ও ফ্রিল্যান্সিং এর জ্ঞান সব বেকার ভাইবোনদের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া তার এখন স্বপ্ন।

রিয়াদ হাসানের সহধর্মিণী সাবিয়া সুলতানা শাকিলা বলেন, আগে গৃহিণী ছিলাম, এখন চাকরিজীবীর থেকেও বেশি আয় করি। ঘরে বসে দুজন মিলে লাখ টাকার বেশি আয় করতে পেরে খুব ভালো লাগে আর প্রত্যেকটি মেয়ের উচিত বসে না থেকে ফ্রিল্যান্সিং শিখুন। এতে পরিবার ও দেশের কাজে লাগবে।

প্রশিক্ষণার্থী হাসান বলেন, শুধু মোবাইল দিয়ে পারদর্শী করেছে রিয়াদ ভাই। বর্তমানে শেখার পাশাপাশি ঘরে বসেই আয় করছি। রিয়াদ ভাই খুব যত্ন সহকারে শেখায় আমাদের।

আরেকজন স্থানীয় বেকার যুবক আরিফ কালবেলাকে বলেন, রিয়াদ ভাই ও তার স্ত্রী আমাদের সমাজের অনুপ্রেরণা। তারা ঘরে বসেই লাখ লাখ টাকা অনলাইনের মাধ্যমে ইনকাম করছেন এজন্য তাদের দেখে আমরা শিখতে চাচ্ছি তাদের কাছে।

২০১৯ সালের করোনার সময় থেকে রিয়াদ ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে। সে এসইও (SEO) এক্সপার্ট হিসেবে কাজ করেন। বর্তমানে ইউটিউব এসইও ও কনটেন্ট এসইও (SEO) নিয়ে কাজ করেন। এ ছাড়া মোবাইল দিয়ে মূলত শিক্ষার্থীদেরকে ডিজিটাল মার্কেটিং ও ইউটিউব কপিরাইটের কনটেন্ট -এর কাজ শেখান।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow