ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে যে পরামর্শ দিলেন শান্ত

কি করলে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ফিফটি রানের ইনিংসগুলোকে সেঞ্চুরিতে রুপান্তর করতে পারবে? ১০০ গুলো ১৫০ প্লাস বা ২০০-তে নিয়ে যেতে পারবে? বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সেই রূপান্তরের পথ খুঁজে পেয়েছেন। টাইগার ক্যাপ্টেনের পরামর্শ হলো, ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যখনই বড় ইনিংস খেলার সুযোগ আসবে, তা কাজে লাগাতে হবে। দেশের মাটিতে দীর্ঘ পরিসরের খেলায় যত বেশি লম্বা ইনিংস খেলার অভ্যাস গড়ে উঠবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তথা টেস্টে ততই লম্বা ইনিংস খেলার মানসিকতা তৈরি হবে। তাই টাইগার ক্যাপ্টেন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের এনসিএল, বিসিএল খেলার পরামর্শ দিয়েছেন বেশি করে। ঢাকা টেস্ট শেষে আজ রোববার শেরে বাংলায় প্রেস কনফারেন্সে এসে শান্ত বলেন, ‘আমি আশা করবো ভবিষ্যতে এই রানগুলো যেন ১৫০, ২০০- এ রকম হয়।’ এখান থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের মনে হয়, ‘ডোমেস্টিকে যখন আমরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যখন খেলি, এই জায়গায় কিভাবে আমরা বড়বড় রান করি এবং যখনই অপরচুনিটি আসবে খেলার, তখনই যেন সবাই ম্যাচ খেলে। ওই ফোর ডে ম্যাচ খেলে। অধিনায়ক হিসেবে আমি এই জিনিসটা চাই যে আমার প্রত্যেকটা প্লেয়ার যে ফার্স্ট ক্লাসে যে ম্য

ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়ে যে পরামর্শ দিলেন শান্ত

কি করলে বাংলাদেশের ব্যাটাররা ফিফটি রানের ইনিংসগুলোকে সেঞ্চুরিতে রুপান্তর করতে পারবে? ১০০ গুলো ১৫০ প্লাস বা ২০০-তে নিয়ে যেতে পারবে? বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত সেই রূপান্তরের পথ খুঁজে পেয়েছেন।

টাইগার ক্যাপ্টেনের পরামর্শ হলো, ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যখনই বড় ইনিংস খেলার সুযোগ আসবে, তা কাজে লাগাতে হবে। দেশের মাটিতে দীর্ঘ পরিসরের খেলায় যত বেশি লম্বা ইনিংস খেলার অভ্যাস গড়ে উঠবে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তথা টেস্টে ততই লম্বা ইনিংস খেলার মানসিকতা তৈরি হবে। তাই টাইগার ক্যাপ্টেন জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের এনসিএল, বিসিএল খেলার পরামর্শ দিয়েছেন বেশি করে।

ঢাকা টেস্ট শেষে আজ রোববার শেরে বাংলায় প্রেস কনফারেন্সে এসে শান্ত বলেন, ‘আমি আশা করবো ভবিষ্যতে এই রানগুলো যেন ১৫০, ২০০- এ রকম হয়।’

এখান থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজতে গিয়ে বাংলাদেশ অধিনায়কের মনে হয়, ‘ডোমেস্টিকে যখন আমরা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যখন খেলি, এই জায়গায় কিভাবে আমরা বড়বড় রান করি এবং যখনই অপরচুনিটি আসবে খেলার, তখনই যেন সবাই ম্যাচ খেলে। ওই ফোর ডে ম্যাচ খেলে। অধিনায়ক হিসেবে আমি এই জিনিসটা চাই যে আমার প্রত্যেকটা প্লেয়ার যে ফার্স্ট ক্লাসে যে ম্যাচ খেলতেছে এবং চেষ্টা করতেছে যে ওখানে কতো বড়বড় রান করতে পা।’

কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বড় অংশ তো সেভাবে জাতীয় লিগ ও বিসিএল খেলে না। সে ব্যাপারে আপনার করনীয় ও পরামর্শ কি? শান্ত বলেন, ‘আপনি যদি দেখেন মমিনুল ভাই, সাদমান বা মুশি ভাই যখনই ওনারা সুযোগ পায় কমবেশি কিন্তু ম্যাচ খেলেন এবং আমি আশা করবো যে আশেপাশে যারা আরও ইয়াং ক্রিকেটার আছে তারাও যেন ম্যাচ খেলার সুযোগ পেলে ম্যাচটা যেন গিয়ে খেলে। হ্যাঁ, এটাও আমাদের খেয়াল রাখতে হয় স্পেশালি পেস বোলারদের ক্ষেত্রে ওয়ার্কলোড অনেক কিছু থাকে যেগুলো ফিজিও ট্রেনাররা ম্যানেজ করে।’

‘বাট অধিনায়ক হিসেবে আমি সবসময় আশা করি যে সবাই গিয়ে যেন ম্যাচ খেলে এবং ম্যাচ খেললে ওই হ্যাবিটটা তৈরি হয়। আসলে লম্বা সময় ব্যাটিং করা বা লম্বা সময় বল করা। সো আমি আশা করবো যে সবাই ম্যাচগুলো খেলবেন। ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে আশা এতোটুকুই থাকবে, প্র্যাকটিস ফেসিলিটিস গুলো যেন পারপাসফুলি আমরা পাই। চ্যালেঞ্জ যে রকম থাকবে ওই অনুযায়ী যেন পাই। আশা তো থাকবে যেন এতো লম্বা গ্যাপের মধ্যে কোনো একটা বাইরের কোনো একটা দলের সাথে একটা সিরিজ খেলা, ফোর ডে ম্যাচ বা একটা দেশের মধ্যে একটা টুর্নামেন্ট খেলা যেটা আমরা বিসিএলের আগে খেলেছি। এ ধরনের কোনো টুর্নামেন্ট খেলা, এ ধরনের যদি আমরা ম্যাচ খেলার সুযোগ পাই ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটের পরেও তাহলে সবাই খেলার মধ্যে থাকলে একটু সহজ হয়। সো এটাই আমি আশা করবো।’

এআরবি/আইএইচএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow