ঘিয়ের বিজ্ঞাপন করে নিজেই ক্ষুব্ধ ডা. এজাজ, দিলেন কড়া বার্তা

জনপ্রিয় অভিনেতা ডা. এজাজ। বৈচিত্রময় চরিত্রে অভিনয় করে তিনি জয় করে নিয়েছেন দর্শকের হৃদয়। বিশেষ করে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নির্মাণের বহু নাটক ও সিনেমায় তার মজার চরিত্রগুলো আজও নস্টালজিক করে যায়। ডুবিয়ে রাখে নিখাঁদ বিনোদনে। এই অভিনেতা সম্প্রতি জানালেন বাজে এক অভিজ্ঞতার কথা। প্রকাশ করলেন ক্ষোভও। খাঁটি-ঘি নামে একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে যুক্ত থাকার পর ভোক্তা অধিদফতরে তলব এবং গ্রাহকদের প্রতারণার অভিযোগে হতাশ হয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, জীবনে আর কখনও খাদ্যপণ্যের কোনো বিজ্ঞাপন করবেন না। খাঁটি-ঘি নামের অনলাইন প্রতিষ্ঠানটির ঘি কেনার পর প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ভক্ত-ক্রেতারা। এসব অভিযোগে সরব সোশ্যাল মিডিয়া। বিষয়টি নজরে আসতেই হতাশ হয়েছেন অভিনেতা নিজেও। আরও পড়ুন৩০ দিনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন পরীমনিকনটেন্ট বানাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ আল-আমিন বার্ন ইউনিটে একজন ক্ষতিগ্রস্ত ক্রেতা গণমাধ্যমকে জানান, অনলাইনে নানা বিজ্ঞাপন দেখেও তিনি ভরসা পাননি। কিন্তু ডা. এজাজকে ঘিয়ের প্রচার করতে দেখে বিশ্বাস করে কিনেছিলেন। পরে পণ্যের মান নিম্নমানের হওয়ায় প্রতারণার শিকার হন। এমন অভিযোগ দ্রু

ঘিয়ের বিজ্ঞাপন করে নিজেই ক্ষুব্ধ ডা. এজাজ, দিলেন কড়া বার্তা

জনপ্রিয় অভিনেতা ডা. এজাজ। বৈচিত্রময় চরিত্রে অভিনয় করে তিনি জয় করে নিয়েছেন দর্শকের হৃদয়। বিশেষ করে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নির্মাণের বহু নাটক ও সিনেমায় তার মজার চরিত্রগুলো আজও নস্টালজিক করে যায়। ডুবিয়ে রাখে নিখাঁদ বিনোদনে।

এই অভিনেতা সম্প্রতি জানালেন বাজে এক অভিজ্ঞতার কথা। প্রকাশ করলেন ক্ষোভও। খাঁটি-ঘি নামে একটি অনলাইন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে যুক্ত থাকার পর ভোক্তা অধিদফতরে তলব এবং গ্রাহকদের প্রতারণার অভিযোগে হতাশ হয়েছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, জীবনে আর কখনও খাদ্যপণ্যের কোনো বিজ্ঞাপন করবেন না।

খাঁটি-ঘি নামের অনলাইন প্রতিষ্ঠানটির ঘি কেনার পর প্রতারণার শিকার হচ্ছেন ভক্ত-ক্রেতারা। এসব অভিযোগে সরব সোশ্যাল মিডিয়া। বিষয়টি নজরে আসতেই হতাশ হয়েছেন অভিনেতা নিজেও।

আরও পড়ুন
৩০ দিনের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন পরীমনি
কনটেন্ট বানাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ আল-আমিন বার্ন ইউনিটে

একজন ক্ষতিগ্রস্ত ক্রেতা গণমাধ্যমকে জানান, অনলাইনে নানা বিজ্ঞাপন দেখেও তিনি ভরসা পাননি। কিন্তু ডা. এজাজকে ঘিয়ের প্রচার করতে দেখে বিশ্বাস করে কিনেছিলেন। পরে পণ্যের মান নিম্নমানের হওয়ায় প্রতারণার শিকার হন। এমন অভিযোগ দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে।

এই পরিস্থিতিতে ভোক্তা অধিদফতর ডেকে পাঠায় ডা. এজাজকে। তিনি জানান, বিজ্ঞাপন করার সময় তাকে বিএসটি আই (বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন)-এর অনুমোদন দেখানো হয়েছিল। সেটির ওপরই ভরসা করে তিনি বিজ্ঞাপনে অংশ নেন। কিন্তু এখন তাদের প্রতারণার বিষয়টি জেনে তিনি ক্ষুব্দ। প্রতিষ্ঠানটি যদি ভেজাল পণ্য বিক্রি করে থাকে এটা তদন্ত করে যেন ব্যবস্থা নেওয়া হয় সেটি তিনি ভোক্তা অধিদফতরকে লিখিতভাবে জানিয়ে এসেছেন।

তার ভাষ্য, ‘সব জায়গায় অসৎ মানুষের ভিড়। এই ঘটনার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি খাদ্যপণ্যের বিজ্ঞাপনে নিজেকে আর কখনোই যুক্ত করব না।’

অভিযোগ জানানোর পরও বিজ্ঞাপনটি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যোগাযোগ করলেও সাড়া পাননি তিনি। বরং দ্রুত প্রচার বন্ধ ও প্রতারণা রোধে তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহযোগিতা চেয়েছেন।

এলআইএ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow