চট্টগ্রামে আনসার আল ইসলামের দুই সদস্য গ্রেফতার

3 months ago 29

চট্টগ্রামে আনসার আল ইসলামের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭। গ্রেফতাররা আনসার আল ইসলাম মতাদর্শে ‘শাহাদাত’ নামে নতুন সংগঠনের মাধ্যমে জঙ্গি কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন।

শুক্রবার (১৪ জুন) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার শিকলবাহা ইউনিয়ন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফ উল আলম।

গ্রেফতাররা হলেন- মো. আসাদুজ্জামান আসিফ (২২) এবং মোহাম্মদ আহাদ (২১)। এদের মধ্যে আসিফের বাড়ি পঞ্চগড় জেলায় এবং আহাদের বাড়ি পাবনায়।

শরীফ উল আলম বলেন, গত ২৩ মে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৩ এর এক আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর গুলিস্থান ও সাইনবোর্ড এলাকায় অভিযান চালায়। সেসময় আনসার আল ইসলামের তিন শীর্ষ স্থানীয় সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। তারা আফগানিস্তানে তালেবানের উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে আনসার আল ইসলামে যোগ দেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, র‌্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানের ফলে আনসার আল ইসলামের কার্যক্রম প্রায় স্তিমিত হয়ে পড়ে। এরমধ্যেও আনসার আল ইসলামের নামে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ কার্যক্রম পরিচালনা এবং চলমান রাখতে গ্রেফতাররা আনসার আল ইসলাম মতাদর্শী ‘শাহাদাত’ নামে নতুন একটি জঙ্গি সংগঠন তৈরি করেন। এরপর তারা ‘শাহাদাত’ গ্রুপের নামে নতুন সদস্য সংগ্রহসহ দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকেন। এই সংগঠনের সদস্য শতাধিক। যোগাযোগের জন্য তারা ব্যবহার করেন ‘এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেড’ বিভিন্ন মেসেঞ্জার এবং মোবাইল অ্যাপ।

এ র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘শাহাদাত’ গ্রুপটি সালাহউদ্দিন নামের এক প্রবাসীর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তিনি এখন বিদেশে অবস্থান করছেন। এ গ্রুপের অন্য সদস্যরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছেন। শুক্রবার শিকলবাহা ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত একতলা ঘরে বৈঠক করার সময় ‘শাহাদাত’ গ্রুপের দুই সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে একাধিক জিহাদি বই এবং অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বিষয়ে শরীফ উল আলম বলেন, এ সংগঠনের প্রধান লক্ষ্য শিক্ষিত এবং উগ্র উঠতি বয়সীদের আকৃষ্ট করে দেশ বিরোধিতার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে তারা সংগঠনের সদস্যদের গোপনে শারীরিক প্রশিক্ষণ দেন। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এএজেড/এমডিআইএইচ/কেএসআর/এএসএম

Read Entire Article