চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে ১ ফ্রেরুয়ারি থেকে অমর একুশে বইমেলা শুরু হচ্ছে। এ বইমেলা চলবে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিনগুলোতে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকবে।
মেলার স্থান হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম মাঠ। ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন গৃহায়ন, গণপূর্ত ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম চত্বরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম সিটি মেয়র শাহাদাত হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেয়র জানান, চট্টগ্রামের পাশাপাশি ঢাকার অভিজাত প্রকাশনী সংস্থাগুলো মেলায় অংশ নিচ্ছে এবং তাদেরকে স্টলও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এক লাখ বর্গফুটের মাঠ জুড়ে ১৪০টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মেলা প্রাঙ্গণে দৃষ্টিনন্দন ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি পাঠাগার’ থাকবে জানিয়ে মেয়র শাহাদাত বলেন, এবার মেলা প্রাঙ্গণে থাকছে দৃষ্টিনন্দন ‘শহীদ জিয়া স্মৃতি পাঠাগার’ এছাড়াও নিরাপত্তার স্বার্থে পুরো মেলা প্রাঙ্গণ সিসিটিভি নেটওয়ার্কের আওতাভুক্ত থাকবে। মেলায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের সার্বিক সহযোগিতায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। মেলা কার্যালয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত আসন থাকবে। আশা করি এই মেলায় চট্টগ্রামের সর্বস্তরের লেখক-পাঠক ও সৃজনশীল নাগরিকদের অংশগ্রহণে সংস্কৃতি ও মননের উৎকর্ষের পাশাপাশি ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সম্মিলন ঘটবে। এছাড়াও জাতীয় জীবনে যেসব ব্যক্তি কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদের একুশে সম্মাননা স্মারক পদক ও সাহিত্য পুরষ্কার প্রদান করা হবে।
এবারের মাসব্যাপী বইমেলার অনুষ্ঠানমালায় রয়েছে, রবীন্দ্র উৎসব, নজরুল উৎসব, লেখক সমাবেশ, যুব উৎসব, শিশু উৎসব, মুক্তিযুদ্ধ উৎসব, ছড়া উৎসব, কবিতা উৎসব, মাতৃভাষা দিবস ২১ ফেব্রুয়ারির আলোচনা, লোক উৎসব, তারুণ্য ও ছাত্র সমন্বয় উৎসব, নারী উৎসব, বসন্ত উৎসব, মরমী উৎসব, আবৃত্তি উৎসব, নৃগোষ্ঠী উৎসব, পেশাজীবী সমাবেশ, কুইজ প্রতিযোগিতা, চাটগাঁ উৎসব, বইমেলার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। মেলায় প্রতিদিনের বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় দেশের প্রথিতযশা লেখক-কবি-সাহিত্যিক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের বরেণ্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেবেন।
প্রতিবারের মতো এবারও মেলায় থাকছে, নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন মঞ্চ ও সেলফি কর্নার। এছাড়াও নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য ৫২-র ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতার আন্দোলনের ওপর প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা, শিক্ষা কর্মকর্তা মোছাম্মৎ রাশেদা আক্তার, সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের শাহাবুদ্দিন বাবু, মহিউদ্দিন শাহ আলম নিপু, আলী প্রয়াস, সিডিএ বোর্ড মেম্বার জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে) সভাপতি মো. শাহ নেওয়াজ, শামসুল হক হায়দরী, মোস্তফা নঈম, চসিকের সমাজকল্যাণ ও সংস্কৃতি কর্মকর্তা মামুনুর রশীদসহ আরও অনেকে।
এমডিআইএইচ/এসএনআর/এমএস