ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পর দুর্বৃত্তদের হাত থেকে ভিন্ন ধর্মালম্বীদের উপাসনালয়, মন্দির ও গির্জা রক্ষায় পাহারা বসিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি দল প্রবর্তক এলাকার ইসকন মন্দির ও প্রবর্তক মন্দিরে যায়। তারা মন্দিরে দায়িত্বরত ও ধর্মগুরুদের সঙ্গে দেখা করে আশ্বাস দেন। এসময় শিক্ষার্থীদের একটি দল সেখানে পাহারার ব্যবস্থা করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে ভুল প্রমাণ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এসব হামলা চালাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। আমরা আমাদের সমন্বয়কদের সব উপাসনালয়সহ সরকারি স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে থাকার নির্দেশ দিয়েছি।
অপরদিকে, নগরের হালিশহর এলাকা বিভিন্ন মন্দিরে পাহারা বসায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জনতা।
- আরও পড়ুন:
- বাংলাদেশকে শান্ত থাকার আহ্বান আমেরিকার, সেনাবাহিনীকে স্যালুট
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে ড. ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা চান সমন্বয়করা
যাত্রাবাড়ী থানা পুড়ে ছাঁই, যে যা পারছেন নিয়ে যাচ্ছেন
সাংবাদিক নুর নবী রবিন বলেন, আমরা রাতেই প্রতিটি এলাকায় মন্দির ও গির্জা রক্ষায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাঠে আছি। বিপ্লব বেহাতের কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার পর থেকে চট্টগ্রামে সহিংসতায় একজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া অর্ধশতাধিক আহত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিক্ষুব্ধ জনতা ও দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় চট্টগ্রামের থানা, পুলিশ কার্যালয়, সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের বাসায়।
এএজেড/এসএনআর/জেআইএম