চট্টগ্রামে যৌন নিপীড়নের পৃথক মামলায় দুজনের যাবজ্জীবন

11 hours ago 3
চট্টগ্রামে যৌন নিপীড়নের পৃথক মামলায় এক মাদ্রাসার অধ্যক্ষসহ দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে উভয়কে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক ফেরদৌস আরা পৃথক এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জোবায়ের হোসেন (২৭) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নোয়াখালীর চরজব্বর থানার পূর্ব চরভাটা এলাকার বাসিন্দা। আরেক আসামি মাকসুদুর রহমান চট্টগ্রাম নগরের উত্তর পতেঙ্গা এলাকার জামিয়াতুল মদিনা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম থানার দেওঘর গ্রামের কেনু মিয়ার ছেলে। মাকসুদুর পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানামূলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী কফিল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, পাঁচ বছর বয়সী মাদ্রাসাশিক্ষার্থী এক ছেলেকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাকসুদুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় নগরীর উত্তর পতেঙ্গায় নিজ বাসার কাছে বড় ভাইয়ের সঙ্গে মোবাইলে গেম খেলছিল শিশুটি। শিশুটির মাদ্রাসার শিক্ষক মাকসুদুর রহমান শিশুটিকে বড় ভাইয়ের সামনে থেকে ডেকে মাদ্রাসায় নিয়ে যায়। পরে তার কক্ষে নিয়ে শিশুটিকে ‘যৌন নিপীড়ন’ করেন এমন অভিযোগে পরেরদিন পতেঙ্গা থানায় মামলা করেন শিশুর বাবা। ওই মামলায় মাকসুদুর রহমানের পাশাপাশি যৌন নিপীড়নে সহযোগিতার অভিযোগে মাদ্রাসার আরেক শিক্ষক মামুনুর রশিদকে আসামি করা হয়। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৭ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ২০২২ সালের ২ মার্চ দুই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার রায় দেন আদালত। অভিযোগে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় মাদ্রাসাশিক্ষক মামুনুর রশিদকে খালাস দেওয়া হয়। আর অধ্যক্ষ মাকসুদুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে পাঁচলাইশ থানার আরেক মামলার রায়ে জোবায়ের হোসেন (২৭) নামের আরেক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০১৯ সালের ৬ জুলাই নগরীর পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদ এলাকায় ১৩ বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নিপীড়ন করেন আসামি জোবায়ের। এ ঘটনায় শিশুর মা পাঁচলাইশ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। এ মামলায় ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত মঙ্গলবার এ রায় দেন।
Read Entire Article