জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রামে গুলিবিদ্ধ হওয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৮২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তবে মামলার আসামিদের তালিকায় এমন একজনের নাম রয়েছে, যিনি চার বছর আগেই মারা গেছেন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে এই মামলাটি করেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী একেএম নুরুল্লাহ (২২)।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাছান মাহমুদ, মহিবুল হাসান চৌধুরী ও সাইফুজ্জামান চৌধুরী। এছাড়া চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলাম, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ, আইনজীবী রানা দাশগুপ্ত এবং শেখ হাসিনার সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরাও এই মামলার আসামি।
তবে এই মামলার ১৫০ নম্বর আসামি হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সায়েদ গোলাম হায়দার মিন্টুকে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু তিনি ২০২১ সালের ১৮ মার্চ মারা গেছেন।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট নগরের নিউমার্কেট সংলগ্ন রেলওয়ে জামে মসজিদের সামনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ার সময় মামলার আসামিদের নির্দেশে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালান। ওই হামলায় তিনি গুলিবিদ্ধ হন এবং তার দুই পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি লাগে।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাসমিন আক্তার নিসাত জানান, গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর বাদী চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করতে সময় লাগায় মামলা করতে দেরি হয়েছে।
আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করেছেন এবং মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন।
এমআরএএইচ/কেএইচকে