চট্টগ্রামে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা

3 months ago 24

চট্টগ্রামে প্রায় ৬২ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবুল হাশেম এবং তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগমের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করেন দুদক জেলা সমন্বিত-২ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুসাব্বির আহমেদ।

আসামিরা হলেন, রাউজান থানার গশ্চি গ্রামের মো. আবুল হাশেম (৬১) ও তার স্ত্রী তাহেরিনা বেগম (৫১)। এই দম্পতি নগরের খুলশী থানাধীন পলিটেকনিক্যাল কলেজ রোডের রূপসী হাউজিংয়ে বসবাস করেন। আবুল হাশেম সর্বশেষ শিল্প পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে ২০২২ অবসরে যান। তিনি শিল্প পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের সহকারী পরিচালক ছিলেন। তিনি ১৯৮৮ সালে এসআই হিসেবে পুলিশে যোগ দেন।

মামলার বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়-২ এর উপ-পরিচালক আতিকুল আলম। তিনি বলেন, এক মামলায় শুধু আবুল হাশেমকে, অন্য মামলায় তার স্ত্রীর সঙ্গে তাকেও আসামি করা হয়।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ২০১৭ সালের শুরুতে দুদকের হটলাইনে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের এই দম্পতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর আবুল হাশেম ও তার স্ত্রী তাহেরিনাকে সম্পদের বিবরণ দাখিলের জন্য নোটিশ দেয় দুদক। একই বছরের ২৭ নভেম্বর তারা দুদকে সম্পদ বিবরণী জমা দেন। ২০২২ সালের ১৬ অক্টোবর আবুল হাশেম চাকরি থেকে অবসর নেন।

সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে দুদক নিশ্চিত হয়, দুদকে জমা দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে মো. আবুল হাশেম লাখ ৪৫ হাজার ৯৬২ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। পাশাপাশি জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ১৮ লাখ ৬০ হাজার ২৯৪ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রাখার সত্যতা পায় দুদক।

অন্যদিকে, তাহেরিনা বেগমের সম্পদ বিবরণী যাচাইকালে তার বিরুদ্ধে ৬ লাখ ৮৪ হাজকর ৩৬৬ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করার বিষয়ে নিশ্চিত হয় দুদক। পাশাপাশি তার কাছে জ্ঞাত আয় বর্হিভূত ৪৩ লাখ ৩২ হাজার ৪৫৬ টাকার সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রাখায় বিষয়ে সত্যতা পায় দুদক। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ করা হয়। একই সঙ্গে এ সম্পদ অর্জনে তাকে সহযোগিতা করার অভিযোগ এনে মামলাটিতে আবুল হাশেমকেও আসামি করা হয়।

এমডিআইএইচ/এসএনআর/জিকেএস

Read Entire Article