চট্টগ্রাম নগরীতে সারারাত বৃষ্টির কারণে অক্সিজেন ২ নম্বর গেট সড়কের স্টারশিপ এলাকায় সেতু ভেঙে গেছে। ফলে সড়কের একপাশে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কের অন্যপাশ দিয়ে যান চলাচল করলেও সড়কে যানজট দেখা গেছে। যার ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রী ও পথচারীদের।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাতে বৃষ্টির কারণে পানিপ্রবাহের ফলে বৃহস্পতিবার সকালে ব্রিজটি ভেঙে যায়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, ড্রেনেজ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেল মো. ফরহাদুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, এটা অনেক আগের পুরনো ব্রিজ। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য খালটা প্রশস্ত করা হয়। এরপর থেকে খালে পানিপ্রবাহ বেড়ে যায়। পানি বেড়ে যাওয়ায় প্রেশারটা নিতে পারে নাই। খাল বড়ো হলেও সেতু আগের মতো ছিল। পানি যেতে যেতে সেতুর দুপাশের মাটি সরতে থাকে। যার ফলে রিটেইনিং ওয়ালটা ধ্বসে পড়ে। ওয়াল পড়ে যাওয়ায় ব্রিজটা ভেঙে পড়ে।
সেতু সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে মো. ফরহাদুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, খাল সংস্কারের সময় সেতুটি একটু ঝুঁকির মুখে পড়ে। যার ফলে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় সংস্কারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। সেতু সংস্কারের জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত সংস্কারের কাজ শুরু করবে সিটি করপোরেশন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চট্টগ্রাম নগরের অন্যতম প্রধান ও ব্যস্ততম সড়ক বায়েজিদ বোস্তামী সড়কের ওপর সেতুটি অবস্থিত। এই সেতু দিয়ে নগরের ২ নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন যাতায়াত করেন লোকজন। এ সড়কটি গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণ হলো এ এলাকায় পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন ধরনের শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ গাড়ি চলাচল করে সড়কটি দিয়ে। সেতু ভাঙার ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। জনদুর্ভোগ বেড়েছে।
দ্রুত সেতুটি সংস্কারের জন্য সরকারের কাছে আহ্বান জানান স্থানীয়রা।
সিএনজিচালক সরোয়ার হোসেন জাগো নিউজকে জানান, আমি ভাড়া নিয়ে আসছিলাম। দেখি ব্রিজ ভাঙা। উল্টো পথে আবার ব্যাক করে অন্যপথ দিয়ে চলে যাই। আমি গরীব মানুষ, অনেক টাকার গ্যাস বাড়তি গেছে, কিন্তু যাত্রী তার ন্যায্য ভাড়াটা দিছে। সেতু ভেঙে যাওয়ায় যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ওইপাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এখন একপাশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করে গন্তব্যে যাচ্ছে মানুষ।
এ সেতু দ্রুত সংস্কার না করলে সড়কে আরও বেশি যানজট হবে বলে জানান যাত্রী ও চালকেরা।
এএমএ