চট্টগ্রামে ৬ জেলায় কাউন্সিল করবে বিএনপি

1 month ago 12

চট্টগ্রাম মহানগর ও উত্তর জেলাসহ চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন ছয়টি সাংগঠনিক ইউনিটে আগামী ৮০ দিনের মধ্যে কাউন্সিল করবে বিএনপি। বাকি ইউনিটগুলো হচ্ছে খাগড়ছড়ি, কক্সবাজার, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরে।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক টিমের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নসিমন ভবনে আয়োজিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, তৃণমূল থেকেই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় কাউন্সিল হবে। অর্থাৎ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা, থানা বা উপজেলার কাউন্সিলের পর হবে জেলা বা নগরের কাউন্সিল।

এ বিষয়ে ব্রিফিংকালে আহমেদ আযম খান বলেন, ছয়টি জেলার নেতাদের নিয়ে আজকে সভা করেছি। আগামী ৮০ দিনের ভেতর এই ছয় জেলার তৃণমূল থেকে অর্থাৎ ইউনিয়ন থেকে উপজেলা, ওয়ার্ড থেকে পৌরসভা এবং উপজেলা ও পৌরসভা থেকে জেলা কাউন্সিল সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তারেক রহমান এই কাউন্সিলগুলো সর্বোচ্চ ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ৮০ দিনের টার্গেট নির্ধারণ করেছি। তিনি বলেন, ৬ ডিসেম্বর থেকেই চট্টগ্রাম মহানগরীসহ ৬ জেলায় সম্মেলন আয়োজনের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়ে যাবে। এই সম্মেলনে এই বিভাগের যারা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুগ্ম মহাসচিব আছেন তারা প্রত্যেকে উপস্থিত থাকবেন।

কোন জেলায় আগে কাউন্সিল হবে, এমন প্রশ্নের উত্তরে আহমেদ আযম খান বলেন, এখন বলা যাচ্ছে না। আশা করছি, খাগড়াছড়ি জেলা আগে কাউন্সিল করবে। তবে যেখানেই হোক কাউন্সিল হবে গণতান্ত্রিকভাবে। যেন একথা কেউ বলতে না পারে, আপনাদের দলেই তো গণতন্ত্র নেই, দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন কীভাবে। কাউন্সিলের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, তারেক রহমান বলেছেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে গেলে সমৃদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন প্রয়োজন। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য আগামী দিনে এই দেশের বিরুদ্ধে থাকা সব জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে তারেক রহমানের নেতৃত্বে জতীয় ঐক্য গড়ে তোলা। তিনি বলেন, বিভিন্ন ধর্মের মানুষ যুগ যুগ ধরে একই বন্ধনে আবদ্ধ, সেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে পারি। তারেক রহমানের নেতৃত্বে যেন আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে পারি সেই লক্ষ্যে আমাদের দলটাকে আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে চাই।

আযম খান আরও বলেন, বিএনপি সবসময় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী একটি দল। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক জিয়াউর রহমান এ দলটি গঠন করেছেন। এরপর স্বৈরশাসক এরশাদের সময় আবারও গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়ে, তখনও খালেদা জিয়া পরিবার থেকে বেরিয়ে আসেন গণতন্ত্রের জন্য এবং তার মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হয়। ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছিল, এবারও জিয়া পরিবারের সন্তান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ১৫ বছর আমরা রক্ত দিয়েছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর আকবর খোন্দকার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাংগঠনিক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশীদ, মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ ও সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।

এমডিআইএইচ/এসএনআর/এমএস

Read Entire Article