চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও কর্ণফুলীতে হচ্ছে নতুন হাসপাতাল

2 hours ago 5

চট্টগ্রামের হাটহাজারী ও কর্ণফুলী উপজেলায় দুটি হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নগরের দুই প্রান্তের উপজেলা দুটিতে হাসপাতাল নির্মাণের ফিজিবিলিটি স্টাডি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে (চুয়েট)। প্রস্তাবনা অনুযায়ী হাটহাজারীর ফটিকা এলাকায় ৬০০ শয্যার এবং কর্ণফুলী উপজেলায় ২৫০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে।

এ নিয়ে গত সপ্তাহে চুয়েটের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের এক প্রতিনিধিদল। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্নে বাজেট উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে চুয়েটকে।

জানা যায়, চিকিৎসাসেবা বিকেন্দ্রীকরণ ও নগরের দুই প্রান্তের মানুষের সহজপ্রাপ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে দুটি বড় হাসপাতাল স্থাপনের উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গত সপ্তাহে হাটহাজারীর ফটিকা এলাকায় প্রস্তাবিত ৬০০ শয্যার হাসপাতাল এবং কর্ণফুলীতে ২৫০ শয্যার হাসপাতালের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. খায়ের আহমদ চৌধুরী ও পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এবিএম আবু হানিফ। পরিদর্শন টিমে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন
ডেঙ্গু ছড়ানোর এডিস মশা চিনবেন কীভাবে?
জাতীয় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চিকিৎসকদের বদলি-পদায়ন বন্ধ

পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহমুদ আব্দুল মতিন ভূঁইয়ার দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদল। বৈঠকে হাসপাতাল দুটি নির্মাণের ফিজিবিলিটি স্টাডি দ্রুত সম্পন্নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সভায় বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সেখ ফজলে রাব্বি, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, এনডিএফ চট্টগ্রাম মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক ডা. ইরফান চৌধুরীসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।

এর আগে হাটহাজারীর ফটিকা এলাকায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) মালিকানাধীন ২০ একর খালি জায়গা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে বরাদ্দ দেয় বিটিসিএল। সংস্থার ২৩৬তম পর্ষদ সভায় এই বরাদ্দের অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া অনেক আগেই কর্ণফুলীতে স্বাস্থ্য বিভাগের খালি জায়গায় হাসপাতাল নির্মাণের জন্য নির্ধারণ করা হয়।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরের বাইরে এই দুটি হাসপাতাল হলে নগরের চাপ অনেকটা কমবে। হাটহাজারী ও কর্ণফুলীর মানুষ স্থানীয়ভাবে উন্নত চিকিৎসাসেবা পাবেন। ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হলেই আমরা পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হবো।

সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রাম মহানগর ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা ও চিকিৎসাসেবার চাপ বিবেচনায় শহরের বাইরে এই দুটি হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনা নেয় সরকার। বিশেষ করে উত্তর চট্টগ্রাম এবং দক্ষিণ চট্টগ্রাম অঞ্চলের রোগীরা বর্তমানে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। নতুন হাসপাতালগুলো চালু হলে এসব অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।

এমডিআইএইচ/কেএসআর/জেআইএম

Read Entire Article