চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আরবি বিভাগের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার। আগামী তিন বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করবেন।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিভাগের সম্মেলনকক্ষে এক অনুষ্ঠানে বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নেওয়ামত উল্লাহ আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সভাপতির হাতে দায়িত্বভার অর্পণ করেন।
অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন সৌদি আরবের কিং সউদ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেন। পরে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রামের মেহেদীবাগ সিডিএ জামে মসজিদের খতিব। এ ছাড়া তিনি দেশের বেশ কয়েকটি ইসলামী ব্যাংকের শরিয়াহ বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। খ্যাতিমান ইসলামী চিন্তাবিদ, আলোচক, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও ইসলামিক স্কলার হিসেবেও তিনি ব্যাপক পরিচিত।
নতুন দায়িত্ব নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার কালবেলাকে বলেন, বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব একটি পবিত্র আমানত। এই বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঐতিহ্যবাহী বিভাগ। সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে আমি নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি। একই সঙ্গে এটিকে একটি চ্যালেঞ্জও মনে করি।
তিনি বলেন, বিভাগের সিলেবাসকে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করা হবে। পাশাপাশি দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। আরব বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা হবে। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অতিথি শিক্ষক এনে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান উন্নত করার উদ্যোগও নেওয়া হবে।
অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার জানান, বিভাগের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনকে শক্তিশালী করা হবে এবং তাদের বিভাগীয় উন্নয়নে সম্পৃক্ত করা হবে। সেমিনার লাইব্রেরিকে অটোমেশনের আওতায় আনা হবে এবং প্রতিটি শ্রেণিকক্ষ ডিজিটাল সুবিধাসম্পন্ন করা হবে।
নতুন সভাপতি আরও জানান, বিভাগের দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য একটি তহবিল গঠন করা হবে। নিয়মিত জব ফেয়ারের আয়োজন করা হবে, যেখানে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের সুযোগ পাবে। উদ্যোক্তা হিসেবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের নিয়ে সেমিনারের আয়োজন করা হবে।
এ ছাড়া বিভাগের উদ্যোগে একটি জার্নাল প্রকাশ করা হবে। সেখানে শিক্ষক-শিক্ষিকার পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করতে পারবেন।
দায়িত্ব নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই দায়িত্ব যেমন সম্মানের, তেমনি দায়িত্বও অনেক বড়। আমি বিশ্বাস করি, বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অ্যালামনাই এবং প্রশাসনের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আরবি বিভাগকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারব।’