চবিতে ফের ভুয়া শিক্ষার্থী শনাক্ত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক সপ্তাহের ব্যবধানে সীমান্ত ভৌমিক নামে আরও এক ভুয়া শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ভুয়া শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। জানা যায়, সীমান্ত ভৌমিকের বাড়ি খুলনা সদরে। বাবা বিপ্লব ভৌমিক ও মা ভারতী ভৌমিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমান্ত ২০২৪ সাল থেকে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন। সীমান্ত নিজেকে মেরিন সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হিসিবে পরিচয় দিত। এছাড়াও, অনেকের থেকে প্রায় ১৮ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘২০২৪ সালে রেল ক্রসিং এলাকায় সীমান্তের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে দক্ষিণ ক্যাম্পাসে পাশাপাশি ভাড়া বাসায় থাকার সুবাদে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। আমার মাধ্যমেই সীমান্তের পরিচয় হয় দোকানদারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে। সে অনেকের কাছ থেকে টাকা ধার নিত। সে মেরিন সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয় দিলেও বিভাগে কেউ তাকে চেনে না। তাই, সন্দেহজনক আচরণের কারণে আজ আমরা তাকে প্রক্টর অফি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) এক সপ্তাহের ব্যবধানে সীমান্ত ভৌমিক নামে আরও এক ভুয়া শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ভুয়া শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, সীমান্ত ভৌমিকের বাড়ি খুলনা সদরে। বাবা বিপ্লব ভৌমিক ও মা ভারতী ভৌমিক। বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমান্ত ২০২৪ সাল থেকে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন। সীমান্ত নিজেকে মেরিন সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী হিসিবে পরিচয় দিত। এছাড়াও, অনেকের থেকে প্রায় ১৮ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘২০২৪ সালে রেল ক্রসিং এলাকায় সীমান্তের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে দক্ষিণ ক্যাম্পাসে পাশাপাশি ভাড়া বাসায় থাকার সুবাদে ঘনিষ্ঠতা গড়ে ওঠে। আমার মাধ্যমেই সীমান্তের পরিচয় হয় দোকানদারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে। সে অনেকের কাছ থেকে টাকা ধার নিত। সে মেরিন সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পরিচয় দিলেও বিভাগে কেউ তাকে চেনে না। তাই, সন্দেহজনক আচরণের কারণে আজ আমরা তাকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসি।’
এ বিষয়ে সীমান্ত ভৌমিক বলেন, ‘২০২৪ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় থাকেন। পরিচিত এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে বিভিন্নজনের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করেন।’
এছাড়াও, জিজ্ঞাসাবাদে সীমান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন মোট ১৮ হাজার ৬০০ টাকা বিভিন্ন দোকানদার ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়েছেন বলে স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এখন অনেক সচেতন। তাদের উদ্যোগেই দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী সেজে ঘুরে বেড়ানো সীমান্তকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, সে বহুজনের সঙ্গে লেনদেনে জড়িত। তাকে নিরাপত্তা দপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগেও আরেক ভুয়া শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছিল। তবে দুই ঘটনার পেছনের প্রেক্ষাপট এক নয় বলে মনে হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, চবিতে গত ২৭ নভেম্বর রাতে মিনহাজ ইসলাম রিফাত নামে এক ভুয়া শিক্ষার্থীকে আটক করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
What's Your Reaction?