চবিতে হচ্ছে ‘কনফুসিয়াস সেন্টার’, শেখানো হবে চীনা ভাষা
চীনের অর্থায়নে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘কনফুসিয়াস সেন্টার’। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চীন সফরে গিয়ে এ-সংক্রান্ত চূড়ান্ত চুক্তি সই ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেন। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মো. শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, অধ্যাপক ড. অধ্যাপক ড. মো. আল আমিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, চাকসু ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি এবং এজিএস আইয়ুবুর রহমান তৌফিক প্রমুখ। চীন সরকারের আমন্ত্রণে গত ১৩-১৯ নভেম্বর চবি উপাচার্যের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বেইজিং সফরে যায়। সেখানে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়েছে। চীন সরকার, ইউজান বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে চুক্তিটি সই হয়। চ
চীনের অর্থায়নে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘কনফুসিয়াস সেন্টার’। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. কামাল উদ্দিন ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম চীন সফরে গিয়ে এ-সংক্রান্ত চূড়ান্ত চুক্তি সই ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেন।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় চবি উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইয়াহ্ইয়া আখতার, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মো. শামীম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, অধ্যাপক ড. অধ্যাপক ড. মো. আল আমিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম, চাকসু ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি এবং এজিএস আইয়ুবুর রহমান তৌফিক প্রমুখ।
চীন সরকারের আমন্ত্রণে গত ১৩-১৯ নভেম্বর চবি উপাচার্যের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল বেইজিং সফরে যায়। সেখানে একটি ত্রিপাক্ষিক চুক্তি সই হয়েছে। চীন সরকার, ইউজান বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে চুক্তিটি সই হয়। চুক্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে। এখানে চায়নিজ ভাষা ও সংস্কৃতি এবং বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি শেখানো হবে।
চুক্তিতে আরেও উল্লেখ আছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চীনকে দেড় একর জমি দিবে। বিনিময়ে চীন সরকারের খরচে ইনস্টিটিউটের অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও কনফুসিয়াস ইনস্টিটিউট রয়েছে। কিন্তু আমি হলফ করে বলতে পারি চবির ইনস্টিটিউট হবে অনন্য। এখনে চীনা ভাষার পাশাপাশি বাংলা ভাষা শেখানো হবে। এ দেশে অনেক চীনা নাগরিক কাজ করেন। তারা আমাদের ভাষা শিখতে আগ্রহী হবেন।’
উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘আমাদের ৫৪টি বিভাগের যে সিলেবাস রয়েছে তা আন্তর্জাতিকমানের। আমরা আগামীতেও তা বজায় রাখবো। তবে আমাদের বর্তমান আবাসিক সুবিধা দিয়ে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করা যাবে না। আমাদের আবাসিক সুবিধা বাড়াতে হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, ‘চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ উষ্ণ পর্যায়ে রয়েছে, এটা খুবই ইতিবাচক। আমাদের শিক্ষার্থীরা চীনে ফুল ফ্রি স্কলারশিপে পড়াশোনার জন্য যেতে পারবে। চীন আমাদের দিকে মনোযোগ দিয়েছে। আমরা আমাদের ছাত্রদেরকে উদ্বুদ্ধ করবো স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাওয়ার জন্য।’
সোহেল রানা/এসআর
What's Your Reaction?