এক কাপ গরম চা কিংবা এক মগ গরম কফি আপনাকে চাঙা রাখে সারাদিন। চা কিংবা কফি শুধুমাত্র পানীয় হিসেবেই ব্যবহৃত হয় না। রূপচর্চার উপাদান হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। প্রাকৃতিক ভাবে চুলের রং হিসেবে চা-কফি ব্যবহার হয় অনেক আগে থেকেই। এটি রাসায়নিক রঙের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ। সাশ্রয়ী মূল্যের হলেও ক্ষণস্থায়ী, তবে নিয়মিত ব্যবহারের মাধ্যমে চুলের ক্ষতি না করেই প্রাকৃতিকভাবে সমৃদ্ধ এবং ঝলমলে করবে।
পুষ্টিগুণে ভরপুর
কফিতে ক্যাফিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ক্যাফিন চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এদিকে কফির অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট গুণ চুলের গোঁড়া মজবুত করে এবং প্রাকৃতিক ভাবে চুলকে উজ্জ্বল করে। তাই তো কফির ঘরোয়া ব্যবহারে চুলের রং বজায় থাকবেই, সেই সঙ্গে চুলের স্বাস্থ্য নিয়েও স্ট্রেস বাড়বে না। এছাড়া চায়ের লিকার চুলে ব্যবহার করলে চুলের গোড়ার সুস্থতা ধরে রাখে, মাথার ত্বককে গভীরভাবে পরিষ্কার করে, খুশকি প্রতিরোধ করে চুলকে করে সুন্দর।
যেভাবে বানাবেন
১ কাপ পানিতে কফি খুব ঘন করে জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে নিন। অন্য একটি পাত্রে ১ কাপ পানিতে চা পাতা মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এবার ছেঁকে ঠান্ডা করে রাখুন। এবার দুটি মিশ্রণকে একসঙ্গে মিশিয়ে নিন।
ব্যবহারের নিয়ম
শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নিন। চা-কফির মিশ্রণটি ধীরে ধীরে আপনার চুলে ব্রাশ দিয়ে লাগিয়ে নিন। মাথার ত্বকে এবং চুলে কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করুন। শাওয়ার ক্যাপ বা তোয়ালে দিয়ে চুল ঢেকে ১ ঘণ্টা রেখে দিন। ঠান্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু ছাড়াই চুল ধুয়ে ফেলুন। রঙ স্থায়ী রাখতে এক চা চামচ আপেল সিডার ভিনেগার চুলে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সেরা ফলাফল পেতে
>> দীর্ঘস্থায়ী রঙের জন্য সপ্তাহে ২-৩ দিন করুন। যত বেশি ব্যবহার করবেন, রঙ তত গাঢ় হবে।
>> বাদামি অথবা ধূসর চুলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
>> অতিরিক্ত উজ্জ্বলতার জন্য মিশ্রণটি লাগানোর আগে এক চা চামচ নারকেল তেল চুলে ব্যবহার করতে পারেন।
তথ্যসূত্র: জি নিউজ
এসএকেওয়াই/জেএস/এএসএম