চাঁদপুরে চাহিদার চেয়ে কম ১৭ হাজার কোরবানি পশু

3 months ago 56

চাঁদপুরে চাহিদার চেয়ে কম রয়েছে কোরবানির পশু। এ জেলায় চাহিদার তুলনায় প্রায় ১৭ হাজার পশু কম রয়েছে। তবে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর বলছে এ সংকট থাকবে না।

প্রাণিসম্পদ দপ্তরের তথ্যমতে, জেলায় খামারি রয়েছ তিন হাজার ২৬৯জন। এসব খামারিরা কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখছেন। ব্যক্তি উদ্যোগ ও খামারি মিলিয়ে এ বছর জেলায় ষাঁড়, গাভি, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া লালন পালন করে কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন। এসব পশুর সংখ্যা ৬১ হাজার ৪৮৯। জেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ৭৮ হাজার।

সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের নানুপুর গ্রামের খামারি খালেদ মুন্সি বলেন, প্রতিবছর কোরবানিতে বিক্রির জন্য ২৫-৩০টি গরু লালন পালন করি। এ বছর প্রায় ৩০টি ষাঁড় বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এগুলো আমার খামারের নিজস্ব জাতের। ঘাসসহ দানাদার খাবার খাওয়ানো হয়। তবে খাবারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমাদের খরচও বেড়েছে। খামারে ৮০ হাজার থেকে শুরু করে দুই লাখ টাকা মূল্যমানের ষাঁড় রয়েছে।

একই ইউনিয়নের অপর খামারি আহমদ উল্লাহ জানান, তার আছে প্রায় শতাধিক গরু। এরমধ্যে কোরবানিতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত প্রায় অর্ধশত ষাঁড়। দেশীয় জাতের ষাঁড়ের চাহিদা বেশি। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে কোরবানির আগে লোকজন গরু কিনতে আসেন। তবে এখনো বেচাবিক্রি শুরু হয়নি। তারাও ঘাসসহ দানাদার খাবার দিয়ে এসব গরু লালন পালন করেন।

নানুপুর গ্রামের ব্যবসায়ী বাবু আলম বলেন, আমরা সবসময় কোবানির জন্য দেশীয় জাতের ভালো গরু ক্রয়ের চেষ্টা করি। অনেকে ব্যস্ততার কারণে বাড়িতে কিংবা খামারেই গরু কিনতে পছন্দ করেন। কয়েকটি খামার ঘুরে দরদাম করে দেখলাম গত বছরের তুলনায় গরুর দাম কিছুটা বেশি।

চাঁদপুরে চাহিদার চেয়ে কম ১৭ হাজার কোরবানি পশু

এদিকে জেলার সবচাইতে বড় পশুর হাট সদরের সফরমালি ও হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ঘুরে দেখাগেল প্রচুর পরিমাণ কোরবানির পশু উঠেছে। তবে ক্রেতারা এখন শুধুমাত্র দরদাম করছেন। এ সপ্তাহের শেষ দিকের হাটগুলোতে বেচাবিক্রি বাড়বে। সদরে সবচাইতে দীর্ঘ সময় কোরবানির পশুরহাট বসে ইচুলী চৌরাস্তায়।

এ বাজারের ইজারাদার জাকির হোসেন খান বলেন, ১০ জুন থেকে এ হাটে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল থাকায় ফরিদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এখানে কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন ব্যাপারীরা। আবার প্রতিবছর এ হাট থেকে পাশের লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী থেকেও লোকজন গরু কিনতে আসেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রেখেছি। ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত এ হাট চলবে।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জ্যোতির্ময় ভৌমিক বলেন, জেলার ৮ উপজেলার তিন হাজারের অধিক খামারি এ বছর কোরবানিতে বিক্রির জন্য ৬১ হাজার ৪৮৯টি পশু প্রস্তুত করেছেন। জরিপ করে দেখাগেছে জেলার চাহিদানুসারে আরও ১৭ হাজার পশুর ঘাটতি আছে। তবে এ ঘাটতি থাকবে না। উত্তরবঙ্গ থেকে অনেক ব্যাপারী জেলার হাটগুলোতে পশু নিয়ে আসবেন।

শরীফুল ইসলাম/আরএইচ/জেআইএম

Read Entire Article