চাঁদপুরের পশুরহাটে ক্রেতার চেয়ে ব্যাপারী বেশি

4 months ago 54

চাঁদপুরে কোরবানির পশুরহাট বসতে শুরু করেছে। হাটে উঠতে শুরু করেছে তুলনামূলক ছোট সাইজের দেশীয় গরু। সাধারণ ক্রেতা আসলেও দরদাম করে চলে যাচ্ছেন। তবে এসব হাটে ব্যাপারীর সংখ্যাই বেশি।

সোমবার (৩ জুন) দুপুরে চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের সফরমালী কোরবানির পশুরহাট ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমনটিই জানা গেলো।

জেলা সদর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার উত্তরে সফরমালি পশুরহাট। সপ্তাহের প্রতি সোমবার নিয়মিত হাট বসে। কিন্তু ঈদুল আজহা কেন্দ্রিক এটিই প্রথম বাজার। পুরো হাট জুড়েই দেখাগেল দেশি-বিদেশি হাজার হাজার ষাঁড়, বলদ ও গাভি। একই সঙ্গে অনেক নিজেদের বাড়িতে পালিত ছাগলে নিয়ে এসেছেন বিক্রির জন্য। তবে এ বাজারের অধিকাংশ খামারি ও বিক্রেতা হলেন মেঘনা নদীর পশ্চিমের চরাঞ্চলের এবং শরীয়তপুর জেলার।

চাঁদপুর, হাট, কুরবানি, ব্যাপারীচাঁদপুর, চাঁদপুরের পশুরহাটে ক্রেতার চেয়ে ব্যাপারী বেশি

জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলা থেকে গরু কিনতে এসেছেন শহীদ উল্লাহ সরকার তার ব্যবসায়ী অংশীজন। তিনি বলেন, আজকে বাজারে অনেক গরু উঠেছে। দাম দেখছি। যদি দরদাম বনে তাহলে কিনব। বাজারে গরুর খাবারের দাম বেশি। যে কারণে খামারিরা দাম কিছুটা বেশি চাচ্ছে।

শাহরাস্তি থেকে সফরমালির হাটে গরুর দাম দেখতে এসেছেন গরু ব্যাপারী রবিউল তার কয়েকজন অংশীদার। রবিউল বলেন, পুরো হাট ঘুরে দেখলাম। দুই ব্যাপারীর দুটি করে চারটি ষাঁড় পছন্দ হয়েছে। চারটি এক লাখ ৪ হাজার থেকে শুরু করে ১লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যে কিনেছি।

হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা থেকে ভারতীয় বড় সাইজের চারটি গরু নিয়ে এসেছেন মুন্না নামের গরুর খামারি। তিনি বলেন, আমি ১১টি ভারতীয় ষাঁড় গত রমজান মাসের পূর্বে কিনেছি। খামারে রেখে দেশীয় ঘাস ও দানাদার খাবার খাওয়ানো হয়েছে। এরমধ্যে সাতটি বিক্রি হয়ে গেছে। এ চারটির প্রত্যকটির দাম উঠেছে দুলাখ ১৫ হাজার করে। আমি দুলাখ ৩০ হাজার করে হলে বিক্রি করবো।

চাঁদপুর, হাট, কুরবানি, ব্যাপারীচাঁদপুর, চাঁদপুরের পশুরহাটে ক্রেতার চেয়ে ব্যাপারী বেশি

শরীয়তপুর থেকে সাতটি দেশীয় জাতের গরু নিয়ে এসেছেন আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, আজকে এ হাটে ক্রেতা খুবই কম। কিছু মৌসুমী ব্যবসায়ী এসেছেন। তারা দরদাম করে চলে যাচ্ছেন। আমার গরুগুলো ৪০ হাজার থেকে শুরু করে এক লাখ টাকা মূল্যমানের।

মেঘনা নদীর পশ্চিমের চরাঞ্চল থেকে এসেছেন মো. রাকিবুল হাসান। তিনি বলেন, আমি নিজ বাড়িতে বেশ কয়েকটি ষাঁড় লালন পালন করে বিক্রির জন্য এনেছি। বাজারে ক্রেতা সংকট। পরের হাটে বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছি।

শরীফুল ইসলাম/আরএইচ/জেআইএম

Read Entire Article