চাঁদপুরের সেভেন মার্ডার নিয়ে নতুন চাঞ্চল্য

2 weeks ago 13

আকাশ মন্ডল ওরফে ইরফান নামটি র‍্যাব-১১ এর টিম সামনে আনার পর পরই চাঁদপুরের মেঘনায় জাহাজে ৭ জন খুনের ঘটনায় নতুন চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এই চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় সবার মাঝে। সোশ্যাল মিডিয়াসহ সর্বত্র নতুন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দু আহত জুয়েল ও হাসপাতালে লেখা তার ক্ষুদে বার্তা।

গ্রেপ্তারকৃত আকাশ মণ্ডলের বাড়ি বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলায়। তার বাবার নাম জগদীশ মণ্ডল। তিনি আট মাস ধরে এমভি-আল বাখেরা জাহাজে চাকরি করছিলেন দাবি করে র‍্যাব-১১।

নৌ পুলিশের একাধিক সূত্রের প্রাপ্ত খবরে গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় যে, জুয়েল শ্বাসনালির আঘাতের কারণে কথা বলতে না পেরে কাগজে ৯টি নাম লিখেছিলেন। সেখানে ৯ম নামটি ছিল ‘নিঃস্বার্থ’। আর র‍্যাবের প্রেস ব্রিফিংয়ের পর এতেই যেন নতুন করে চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

পাঠকসহ সুশীল নাগরিকদের কৌতূহলের কারণে এই চাঞ্চল্যের বিষয়টি অবগত করা হয় চাঁদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশ সুপার কার্যালয়ের এসআই শেখ আব্দুস সবুরকে।

তিনি বলেন, আমরা র‍্যাবের প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো নামের বিষয় গুরুত্ব দিচ্ছি। যাকে গ্রেপ্তার করা হলো তার পেছনের ইতিহাস, সে আদৌ ওই জাহাজে কর্মরত ছিল কিনা? আহত জুয়েলের বক্তব্য এবং সেই লিখিত নামগুলো সব ক্রসচেক দিচ্ছি। এটি নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে। জুয়েল যেহেতু বেঁচে আছে, সে অন্যতম শনাক্তকারী। এখনই এই মামলা শেষ হয়ে যাচ্ছে কিনা, তা বলা যাচ্ছে না।

এর আগে চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিক বলেন, অসমর্থিত সূত্র মারফত জেনেছেন ৯ম ব্যক্তি জাহাজে ছিল কিন্তু সেদিন ছুটিতে ছিল। আর জুয়েল কাগজে হাতে লিখে যেই নামগুলো দিয়েছিল, সেখানে সে নিঃস্বার্থ নামে একটি নাম লিখেছে। তা নিয়ে তারা তদন্ত করছেন।

এখন পর্যন্ত চাঁদপুরের এই ৭ খুনের ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খু বিশ্লেষণে এবং রহস্য উন্মোচনে শ্রম মন্ত্রণালয়ের ৫ সদস্য, জেলা প্রশাসনের ৪ সদস্য এবং জেলা পুলিশের ৩ সদস্যের পৃথক তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

Read Entire Article