জামালপুর ৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের নির্বাহী আদেশে চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। তারা বলেন, ৬ রাইফেল ব্যাটালিয়ানরা কোনো বিদ্রোহ করেনি। সেখানে সব সৈনিকরা শান্ত এবং সেনা কর্মকর্তাদের অনুগত ছিলেন।
সোমবার (নভেম্বর ১৮) জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাবিলদার মো. সিরাজুল ইসলাম। সংবাদ সম্মেলনে তারা পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিতে বিডিআর সদস্যরা বিশেষ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত রায় নির্বাহী আদেশে বাতিলের জন্য অনুরোধ, চাকরিচ্যুত ৬ রাইফেল ব্যাটালিয়নের সব সৈনিকের বেতনভাতা ও পূর্ণ সুযোগ সুবিধাসহ চাকরিতে পূর্ণ বহাল, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের পুনরায় তদন্তপূর্বক দোষীদের বিচার করে, যারা নির্দোষ তাদের মুক্তি দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহাল, পিলখানা হত্যাকাণ্ডটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বিধায় তথাকথিত বিডিআর বিদ্রোহ কথাটি বাতিল এবং বিশেষ আদালত কর্তৃক বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগকারী বিডিআর সদস্যগণ যারা বিস্ফোরক মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে কারাগারে আছেন তাদের অনতিবিলম্বে মামলা থেকে অব্যাহতিপূর্বক মুক্তি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ২২ মাসের হাজতবাস কারাদণ্ডের সহিত অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। বিধায় এতকিছু প্রমাণাদি থাকা সত্ত্বেও নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করা অসম্ভব ছিল। অথচ রাইফেলস আদেশ ১৯৭২ মোতাবেক বিচারের পূর্বে কোনো বিডিআর সদস্যকে জেলহাজতে পাঠানোর কোনো বিধান নেই।
বিশেষ আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী নিয়োগ করা হলেও আদালত চলাকালীন কোনো কথা বলার অনুমতি ছিল না বিধায় প্রহসনের বিচারে নিজেদেরকে নির্দোষ প্রমাণ করা অসম্ভব ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে রায়ের বিরুদ্ধে কোনো আপিলের ব্যবস্থা রাখা হয়নি ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের বিশেষ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত সাজা সম্পূর্ণ ভোগ করে মুক্ত হতে হয়েছে। আমাদের পরিবারগুলো অত্যন্ত গরিব। চাকরির ওপর নির্ভর করে আমাদের সংসার চালাতে হত। চাকরিচ্যুত হয়ে বর্তমানে আমাদের পরিবারগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে।
জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা ৬ রাইফেলস ব্যাটালিয়ন জামালপুরের চাকরিচ্যুত সদস্যরা চাকরিতে পুনর্বহালে জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এসআরএস/এমআইএইচএস/এমএস