জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১১ সালে চাকরিচ্যুত আট শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে গাজীপুরের বোর্ডবাজারস্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন তারা।
চাকরি রক্ষা কমিটির ব্যানারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে চাকরিচ্যুত কয়েকশ কর্মকর্তা-কর্মচারী অংশ নেন। এরআগে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। পরে তারা একাডেমিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেয়।
চাকরি রক্ষা কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু হানিফ খন্দকারের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এনামুল করিম, চাকরি রক্ষা কমিটির মহাসচিব মিয়া হোসেন রানা, জাতীয়তাবাদী পেশাজীবী পরিষদের নেতা মোসলেম উদ্দিন, চাকরি রক্ষা কমিটির নেতা তারেক মাহমুদ, আমির হোসেন, ওয়াহিদুজ্জামান নান্নু, মাসুদুর রহমান মাসুদ, আব্দুল মতিন, আজিজুল হক, আফজাল হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি আমিনুল আক্তার ও সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দিন চাকরিচ্যুতদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরিবিধি যথাযথ অনুসরণ করে ২০০৩ ও ২০০৪ সালে বিভিন্ন স্মারকে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ ৯ বছর পর ২০১১ সালে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন অসত্য তথ্য উপস্থাপন করে আদালতকে বিভ্রান্ত করে আমাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
বিগত প্রায় ১৩ বছরে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী অমানবিক কষ্ট ও বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেছেন। বাকিরা অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টে দিনযাপন করছে বলে সমাবেশে তারা উল্লেখ করেন। চাকরিচ্যুতদের দ্রুত চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য তিনদফা দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবর আবেদন করেছন চাকরি রক্ষা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ২০০৩-২০০৪ সাল পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮২১ জনকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগে হাইকোর্ট তাদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের সভায় ২০১১ সালে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
মো. আমিনুল ইসলাম/আরএইচ/জিকেএস