চাকরিজীবী থেকে বলিউড নায়িকা, যা বললেন সোহা

3 weeks ago 10
নবাব পরিবারে জন্ম, হাতে ছিল বিদেশি ব্যাংকের চাকরি। সেখান থেকে হঠাৎ রুপালি পর্দায় ঝলমলে নায়িকা। বলছি অভিনেত্রী সোহা আলী খানের কথা। তার জীবনের এই রূপান্তর যেন সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। পতৌদি পরিবারের কন্যা হয়েও একসময়ে চাকরিজীবনের সীমাবদ্ধতা, বাড়ি ভাড়ার চাপে ক্লান্ত হয়ে তিনি বেছে নেন অভিনয়ের মঞ্চ। আর সেখানেই বদলে যায় তার ভাগ্য। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে সোহা জানালেন জীবনের সেই অজানা অধ্যায়। অভিনেত্রী জানান, ব্যাংকে চাকরি করে বছরে আয় করতেন ২ লাখ ২০ হাজার রুপি। এর মধ্যে ২ লাখ ২ হাজার রুপি চলে যেত বাসা ভাড়ায়। অর্থাৎ, প্রায় সবটাই খরচ হয়ে যেত। তবু স্বাধীনভাবে নিজের উপার্জনে জীবনযাপন করতে চেয়েছিলেন তিনি। এ বিষয়ে সোহা বলেন, ‘আমি স্বাধীন জীবন চেয়েছিলাম। নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে চেয়েছিলাম। আমি জানতাম, প্রয়োজনে মা-বাবার ওপর নির্ভর করতে পারব। সেই আত্মবিশ্বাসই আমাকে সিনেমায় আসার সাহস দিয়েছে।’ জীবনের মোড় ঘুরে যায় যখন একটি মডেলিং চুক্তি পান তিনি। এক বছরের জন্য ৫ লাখ রুপি। তখনই তিনি বুঝলেন, প্রতিদিন অফিসে খেটে যা আয় করতেন, তা এক কাজের মাধ্যমেই  দিনে আয় করতে পারবেন। এরপরই বলিউডে তার প্রথম সিনেমা ‘দিল মাঙ্গে মোর’-এর প্রস্তাব পান । পারিশ্রমিক ১০ লাখ রুপি। এ বিষয়ে সোহা আলী খান বলেন, আমাকে ১০ লাখ রুপি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, যা ছিল বিশাল অঙ্ক। তখন ভাবলাম, এটা তো করতেই হবে, বাকিটা পরে ভাবব। এরপর ‘রং দে বাসন্তী’, ‘আহিস্তা আহিস্তা’, ‘তুম মিলে’সহ একাধিক হিট সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। এমনকি ২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া বাংলা সিনেমা ‘অন্তরমহল’-এও দেখা যায় তাকে। চাকরিজীবনের চাপে বন্দি সোহা আলী খানের জীবন এভাবেই রূপ নেয় বলিউডের রঙিন অধ্যায়ে।
Read Entire Article