চাকসু নিয়ে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা বয়কট করল ছাত্রদল

13 hours ago 4

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের খসড়া আচরণবিধি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আয়োজনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে সভায় প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ এনে সভা বয়কট করেছেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। 

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন, সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী, সদস্য অধ্যাপক ড. বেগম ইসমত আরা হক, অধ্যাপক ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ, ড. মো. আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদ ও অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান চৌধুরী।

সভার শুরুতে নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ নির্বাচনের জন্য খসড়া আচরণবিধি পড়ে শোনান। পরে, শিক্ষার্থীরা আচারণবিধি নিয়ে নানান প্রশ্ন করলে কমিশন তার উত্তর দিতে থাকেন। কিন্তু, কথা বলার সুযোগ না পাওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক ধরনের উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খল অবস্থাযর সৃষ্টি হয়।

পরে সভার শেষ পর্যায়ে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সভা বয়কট করে চলে যান। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় বলেন, নির্বাচন কমিশন শিক্ষার্থীদের মতামত নেওয়ার জন্য মতবিনিময় সভা আয়োজন করে অথচ এখানে শিক্ষার্থীদের কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তারা ধরাবাঁধা নিয়ম করে দিয়েছে। যে কয়েকজন কথা বলার সুযোগ পেয়েছে তাদের একের অধিক প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তারা অতীত প্রশাসনের মতো শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছে। একচেটিয়াভাবে মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের কথা বলার, জবাবদিহিতা নেওয়া এবং প্রশ্ন করার সুযোগ না পাওয়ায় আমরা ছাত্রদল মতবিনিময় সভা বয়কট করেছি।

তবে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, নির্বাচন কমিশন আসলে হট্টগোল বা কোনো ধরনের ঝামেলা এড়াতে লিখিত বক্তব্য দিতে বলে। অনেকেই কয়েকটি করে প্রশ্ন করেছে। একটি বেশি প্রশ্ন করতে না দেওয়ার বিষয়টি ঠিক নয়। আর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সভা বয়কট করেছে শুরু হওয়ার দুই ঘণ্টা পর। মানে সভার শেষের দিকে।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বদ্ধপরিকর। আজ দুই ঘণ্টা আলোচনা হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের বলা হয় এখানে তো অনেক বয়স্ক স্যারেরা আছেন আমরা আজকের মতো শেষ করি পরে আবারও বসতে পারো, যেহেতু এটা চূড়ান্ত নয়। প্রার্থী তালিকা দেওয়ার পর তাদের সঙ্গেও বসে সিদ্ধান্ত নেব। এরপর এটা চূড়ান্ত হবে। 

তিনি আরও বলেন, যে সংগঠনটি অভিযোগ করেছে তাদের অনেকেই কথা বলেছে, দুই ঘণ্টা পর তারা এটি বয়কট করেছে। আমরা তো বলেছি এটা চূড়ান্ত না। আমাদের দরজা সবসময় খোলা, শিক্ষার্থীরা তাদের যে কোনো ধরনের অভিযোগ আমাদের জানাতে পারবে। আমরা আন্তরিকতার সঙ্গে সেগুলো সমাধান করব। আমরা নির্বাচন করতে চাই। এটা কেউ ষড়যন্ত্র করে বন্ধ করতে পারবে না।

Read Entire Article