চাঞ্চল্যকর আরিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চাঞ্চল্যকর আরিফ হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ভোরে নিজ নিজ বাড়ির সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকার ফজলুল হকের দুই ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী টোকেন (৩৭), বিল্লাল হোসেন বিলা (৪৩) এবং বাহিরমাদী সরদারপাড়া এলাকার ইন্নাত আলীর ছেলে জাহিদুল (৪০)। গত ২৯ মে পাকুরিয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের মুর্শিদ মণ্ডলের ছেলে আরিফ আলী (৩০) হত্যার পর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হিসেবে চালানোর অভিযোগ ওঠে এই তিনজনের বিরুদ্ধে। পরে নিহতের মা হাসিনা খাতুন দৌলতপুর থানায় পরিকল্পিত হত্যার মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকায় মাদকবহনে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে আরিফকে হত্যা করা হয়। এলাকার কয়েকজন চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী তাকে মাদক পরিবহনে বাধ্য করার চেষ্টা করছিলেন। রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ২৮ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় দুই ব্যক্তি টুকন ও বিলা আরিফকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাতভর তিনি নিখোঁজ থাকেন। পরদিন সকালে ডাংমড়কা আদাবাড়িয়া স

চাঞ্চল্যকর আরিফ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে চাঞ্চল্যকর আরিফ হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (১৭ নভেম্বর) ভোরে নিজ নিজ বাড়ির সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন— উপজেলার পাকুড়িয়া এলাকার ফজলুল হকের দুই ছেলে শীর্ষ সন্ত্রাসী, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায়ী টোকেন (৩৭), বিল্লাল হোসেন বিলা (৪৩) এবং বাহিরমাদী সরদারপাড়া এলাকার ইন্নাত আলীর ছেলে জাহিদুল (৪০)।

গত ২৯ মে পাকুরিয়া ভাঙ্গাপাড়া গ্রামের মুর্শিদ মণ্ডলের ছেলে আরিফ আলী (৩০) হত্যার পর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হিসেবে চালানোর অভিযোগ ওঠে এই তিনজনের বিরুদ্ধে। পরে নিহতের মা হাসিনা খাতুন দৌলতপুর থানায় পরিকল্পিত হত্যার মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সীমান্ত এলাকায় মাদকবহনে রাজি না হওয়ায় পরিকল্পিতভাবে আরিফকে হত্যা করা হয়। এলাকার কয়েকজন চিহ্নিত মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী তাকে মাদক পরিবহনে বাধ্য করার চেষ্টা করছিলেন। রাজি না হওয়ায় তাকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ২৮ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় দুই ব্যক্তি টুকন ও বিলা আরিফকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রাতভর তিনি নিখোঁজ থাকেন। পরদিন সকালে ডাংমড়কা আদাবাড়িয়া সড়কের পাশের একটি ফাঁকা মাঠে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাটি চাপা দিতে সড়ক দুর্ঘটনার নাটক সাজানো হয় জানা গেছে।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ কালবেলাকে বলেন, আরিফ হত্যা মামলায় তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে। আসামিদের আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow