চাঞ্চল্যকর দিনমজুর মাহাবুব হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার

2 weeks ago 11
রাজধানীর কদমতলী থানাধীন এলাকায় চাঞ্চল্যকর দিনমজুর মাহাবুব হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহাব উদ্দিনকে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১০। রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় বসবাসকারী মো. মাহাবুব দিনমজুরি করে তার জীবিকা নির্বাহ করত। গত ৩০ আগস্ট সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টায় ভিকটিম মাহাবুব কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। এরপর মাহাবুব তার এক বন্ধুর সঙ্গে কদমতলী থানাধীন মুরাদপুর হাইস্কুলের সামনে একটি বাসায় যায়। একই সময়ে ওই ঘটনাস্থলে পূর্ব থেকে ওত পেতে থাকা আসামি মো. শাহাব উদ্দিন (৩৬), পিতা-মৃত এমদাদ হোসেন, সাং-মুরাদপুর হাইস্কুল রোড, থানা-কদমতলী, জেলা- ঢাকাসহ অপরাপর আসামিরা পূর্বশত্রুতার জের ধরে অতর্কিতভাবে চাইনিজ কুড়াল, সুইচ গিয়ার চাকু ও কিরিচ দিয়ে ভিকটিম মাহাবুবকে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এরপর শাহাব উদ্দিনসহ অপর আসামিরা গুম করার উদ্দেশ্যে মাহাবুবকে গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় কদমতলী থানাধীন পাটেরবাগ এলাকায় ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম মাহাবুবের পরিবার খবর পেয়ে উক্ত স্থানে গিয়ে মাহাবুবের রক্তাক্ত গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। উক্ত ঘটনায় মৃত ভিকটিম মাহাবুবের ভাই মো. ফজর আলী বাদী হয়ে রাজধানীর কদমতলী থানায় শাহাব উদ্দিনসহ ৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-০১, তারিখ-০১/০৯/২০২৪ খ্রি. ধারা-৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে শাহাব উদ্দিনসহ অন্যান্য আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি জানতে পেরে র‌্যাব-১০ এর একটি অভিযানিক দল হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১০ এর উক্ত অভিযানিক দল রোববার (৮ ডিসেম্বর) বিকেল আনুমানিক ৫ টা ১০ মিনিটে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকা জেলার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন তেঘরিয়া এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে চাঞ্চল্যকর দিনমজুর মাহাবুব হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. শাহাব উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি উক্ত হত্যাকাণ্ডে তার সরাসরি সম্পৃক্ততার সত্যতা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
Read Entire Article