এশিয়া কাপে বাংলাদেশে বিপক্ষে হারের পর ভিন্ন চেহারায় দেখা গিয়েছিল আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খানকে। সবসময় হাসিখুশি ও শান্ত-স্বভাবী এই তারকাকে দেখা গেল বেশ উত্তেজিত ও ক্ষুব্ধ মেজাজে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে— চাপের মুখে ভেঙে পড়ছেন কি রশিদ খান?
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশে বিপক্ষে ৮ রানে হারের পর আফগানিস্তান পড়েছে কঠিন সমীকরণের মুখে। সুপার ফোরে যেতে হলে শ্রীলঙ্কাকে হারানোই এখন একমাত্র পথ। হারলেই বিদায়, জিতলে টিকে থাকার আশা। আফগানিস্তান জিতলে তৈরি হবে জটিল সমীকরণ। সেই সমীকরণের অঙ্ক মিলিয়ে কে যাবে সুপার ফোরে?
বাংলাদেশ ম্যাচে ফজলহক ফারুকি এক বাউন্ডারি আটকাতে ব্যর্থ হলে রশিদ খান ক্ষুব্ধ হয়ে ডাগআউটের দিকে ইশারা করেন। এমনকি ইব্রাহিম জাদরান এলবিডব্লিউ আউট হলে আম্পায়ার ফয়সাল আফ্রিদির সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। নিজের আউটের পর রশিদকে সীমানা দড়িতে লাথি মারতেও দেখা যায়।
ম্যাচ শেষে হতাশার ছাপ ছিল স্পষ্ট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, রশিদ সতীর্থদের দ্রুত ড্রেসিংরুমে ডাকেন, যেখানে সাধারণত খেলোয়াড়রা ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষের সঙ্গে দীর্ঘসময় আলাপ করেন।
আফগানিস্তানের প্রধান কোচ জোনাথন ট্রট স্বীকার করেন, ‘দলকে দ্রুত মানসিকভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’ অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইব চাপের বিষয়টি স্বীকার করলেও বলেছেন, ‘ক্রিকেট সহজ খেলা নয়। প্রতিটি ম্যাচই কঠিন। তবে শুধু আমরাই নয়, শ্রীলঙ্কাও চাপের মধ্যে আছে।’
টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আফগানিস্তানকে অন্যতম ফেবারিট হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালিস্ট তারা। তবে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায় নিতে হলে দলটির সুনামে বড় ধাক্কা লাগবে। সে কারণে আজকের ম্যাচে শুধু দলের পারফরম্যান্সই নয়, অধিনায়ক রশিদ খানের মানসিক দৃঢ়তাও বড় পরীক্ষার মুখে পড়বে।
ক্রিকবাজ।
আইএইচএস/