চার দফা দাবিতে বিসিবিতে ক্রিকেটারদের অবস্থান
ঢাকা লিগ ঘিরে চলমান অচলাবস্থার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন দেশের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ক্রিকেটাররা। চার দফা দাবি সামনে রেখে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কার্যালয়ে হাজির হন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন ক্রিকেটার। দুপুরে বিসিবির ২ নম্বর গেটের সামনে প্রায় আধাঘণ্টা মানববন্ধন করেন তারা। হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে ফুটে ওঠে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ—‘ঢাকা লিগ বন্ধ কেন’, ‘সবাই মাঠে খেলতে চাই’, ‘৮৮০ জন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার কই’—এমন নানা স্লোগানে মুখর ছিল বিসিবি প্রাঙ্গণ। মানববন্ধন শেষে ক্রিকেটারদের একটি প্রতিনিধি দল বিসিবির ভেতরে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে। বৈঠকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি নাজমূল আবেদীন এবং পরিচালক ইফতেখার রহমানের কাছে নিজেদের দাবিগুলো তুলে ধরেন তারা। ক্রিকেটারদের উত্থাপিত চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—ঢাকা লিগের জন্য একটি নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনযোগ্য সূচি ঘোষণা এবং বিসিবি ও ক্লাবগুলোর মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত
ঢাকা লিগ ঘিরে চলমান অচলাবস্থার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন দেশের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের ক্রিকেটাররা। চার দফা দাবি সামনে রেখে শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কার্যালয়ে হাজির হন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন ক্রিকেটার।
দুপুরে বিসিবির ২ নম্বর গেটের সামনে প্রায় আধাঘণ্টা মানববন্ধন করেন তারা। হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে ফুটে ওঠে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ—‘ঢাকা লিগ বন্ধ কেন’, ‘সবাই মাঠে খেলতে চাই’, ‘৮৮০ জন ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার কই’—এমন নানা স্লোগানে মুখর ছিল বিসিবি প্রাঙ্গণ।
মানববন্ধন শেষে ক্রিকেটারদের একটি প্রতিনিধি দল বিসিবির ভেতরে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে। বৈঠকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি নাজমূল আবেদীন এবং পরিচালক ইফতেখার রহমানের কাছে নিজেদের দাবিগুলো তুলে ধরেন তারা।
ক্রিকেটারদের উত্থাপিত চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে—ঢাকা লিগের জন্য একটি নির্দিষ্ট ও অপরিবর্তনযোগ্য সূচি ঘোষণা এবং বিসিবি ও ক্লাবগুলোর মধ্যকার চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের ক্যারিয়ার ও আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা লিগের কাঠামো শক্ত করার দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগে সব দল অংশ না নিলে বিকল্প হিসেবে একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্ট আয়োজন এবং জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ক্রিকেটে ম্যাচ ফি ও দৈনিক ভাতা বাড়ানোর দাবিও তোলা হয়।
বিসিবি সভাপতি বরাবর লিখিত চিঠির মাধ্যমে এসব দাবি জানানো হয়েছে। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্রিকেটারদের বক্তব্য গুরুত্বের সঙ্গে শোনা হয়েছে এবং বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া হবে।
ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগকে ঘিরেই মূলত এই অস্থিরতার সূত্রপাত। বর্তমান বিসিবির অধীনে কোনো ধরনের ক্রিকেটীয় কার্যক্রমে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ৪৫টি ক্লাব। এর মধ্যে আটটি প্রথম বিভাগ লিগের ক্লাব হলেও তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বিসিবি বা সিসিডিএমকে আপত্তি জানায়নি। সেই আট ক্লাবকে ধরেই লিগের সূচি প্রকাশ করা হলেও মাঠে ক্লাবগুলোর প্রস্তুতির কোনো স্পষ্ট চিত্র এখনো দেখা যায়নি।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, যেদিন ক্রিকেটাররা আন্দোলনে ব্যস্ত ছিলেন, সেদিনই বিসিবির একাডেমি ভবনের সামনে ঢাকা প্রথম বিভাগ লিগের ট্রফি উন্মোচন করা হয়। ২০ দলের লিগ ঘোষণা করা হলেও ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল মাত্র ১২টি দল—যা অনিশ্চয়তাকে আরও স্পষ্ট করেছে।
ঢাকা লিগ কবে এবং কীভাবে মাঠে গড়াবে, সে প্রশ্নের উত্তর এখনো অধরা। তবে ক্রিকেটারদের এই অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছে—মাঠে ফেরার লড়াইয়ে তারা আর নীরব থাকতে রাজি নন।
What's Your Reaction?