ফরিদপুর অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক (৪১) মুমূর্ষু অবস্থায় গত চারদিন ধরে রাস্তার পাশে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। লোকটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয়রা তাকে প্রথমে মৃত ভেবেছিলেন, কিন্তু তিনি এখনো জীবিত আছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্য, তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করালে হয়ত সুস্থ হয়ে উঠবেন। তবে কেউ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করছেন না।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে কে বা কারা অসুস্থ ওই যুবককে সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চর দুর্গাপুর পাল পাড়া এলাকার মৃত আব্দুল কাদেরের বাড়ি সংলগ্ন বড়কোল সেতু সংলগ্ন রাস্তার পাশে ফেলে রেখে গেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই ব্যক্তি চারদিন ধরে সেখানেই পড়ে আছেন।
স্থানীয় পাল পাড়ার বাসিন্দা মো. সিরাজ জানান, এলাকার লোকজন অজ্ঞাত ওই ব্যক্তিকে বিবস্ত্র ও অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখতে পায়। তিনি চারদিন ধরে এখানেই পড়ে আছেন।
ওই গ্রামের আরেক বাসিন্দা ময়না বেগম জানান, লোকটি নাম পরিচয় কিছুই বলতে পারেন না। কিছু জিজ্ঞেস করলে বাড়ির কথা বলেন রাজশাহী আবার কখনো বলেন মুন্সীগঞ্জ। এলাকার লোকজন দোকান থেকে পাওরুটি-কলা এনে দিলে তা খান। তবে তিনি উঠে বসতে পারেন না। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের দাগ রয়েছে। পায়ে পচন ধরেছে।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মাইনুদ্দিন মোল্লা জাগো নিউজকে বলেন, অজ্ঞাত ওই যুবকের বিষয়ে খবর পেয়ে আমি কোতয়ালী থানায় ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছি। কিন্তু বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত লোকটির কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। লোকটি প্রচণ্ড আহত। তিনি উঠে বসতে পারেন না।
এ বিষয়ে ফরিদপুর সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. মাহাবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, তাকে ওই স্থান থেকে তুলে এনে কোন হাসপাতালে ভর্তি করার মতো প্রয়োজনীয় লোকবল আমাদের নেই। তবে অজ্ঞাত ও অসুস্থ ওই যুবককে যদি কেউ হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন তবে তার চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্যের বিষয়টি আমরা দেখবো।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদ উজ্জামানের মুঠোফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এন কে বি নয়ন/এমএন/জিকেএস