চায়ের দোকানে বিমান হামলা, নিহত ১৮

মিয়ানমারে একটি চায়ের দোকানে বিমান হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এক উদ্ধারকর্মী এবং দুজন বাসিন্দা এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় সাগাইং অঞ্চলের তাবাইং টাউনশিপে দুটি বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এর একটি ব্যস্ত চায়ের দোকানে সরাসরি আঘাত হেনেছে। এতে ১৮ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। উদ্ধারকর্মীরা জানান, হামলার ১৫ মিনিটের মাথায় তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সাতজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন, বাকিরা হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যুবরণ করেন। হামলায় চায়ের দোকানটি ও আশপাশের প্রায় ডজনখানেক বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। একজন জীবিত বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি বলেন, তিনি তখন দোকানে বসে টেলিভিশনে বক্সিং ম্যাচ দেখছিলেন। বিমানের শব্দ শুনে মাটিতে লুটিয়ে পড়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। বিস্ফোরণের শব্দ ছিল অসহনীয় জোরে। মাথার ওপর বিশাল আগুনের গোলা দেখেছিলাম। হামলা নিয়ে জান্তার কোনো কর্মকর্তা এএফপির ফোনকলের জবাব দেননি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার নিহতদের জানাজা ও

চায়ের দোকানে বিমান হামলা, নিহত ১৮

মিয়ানমারে একটি চায়ের দোকানে বিমান হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১৮ জন নিহত হয়েছেন। দেশটির স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা, এক উদ্ধারকর্মী এবং দুজন বাসিন্দা এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

শনিবার (০৬ ডিসেম্বর) সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। 

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় সাগাইং অঞ্চলের তাবাইং টাউনশিপে দুটি বোমা হামলা চালানো হয়েছে। এর একটি ব্যস্ত চায়ের দোকানে সরাসরি আঘাত হেনেছে। এতে ১৮ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন।

উদ্ধারকর্মীরা জানান, হামলার ১৫ মিনিটের মাথায় তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। সাতজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন, বাকিরা হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যুবরণ করেন। হামলায় চায়ের দোকানটি ও আশপাশের প্রায় ডজনখানেক বাড়ি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।

একজন জীবিত বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি বলেন, তিনি তখন দোকানে বসে টেলিভিশনে বক্সিং ম্যাচ দেখছিলেন। বিমানের শব্দ শুনে মাটিতে লুটিয়ে পড়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। বিস্ফোরণের শব্দ ছিল অসহনীয় জোরে। মাথার ওপর বিশাল আগুনের গোলা দেখেছিলাম।

হামলা নিয়ে জান্তার কোনো কর্মকর্তা এএফপির ফোনকলের জবাব দেননি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার নিহতদের জানাজা ও শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। স্থানীয়রা জানান, বিস্ফোরণে অনেকের মুখমণ্ডল চিনতে না পারায় তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখা হয়।

এর আগে, গত মে মাসে সাগাইং অঞ্চলে জান্তার আরেক বিমান হামলায় ২২ জন নিহত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ২০ জন শিশু ছিলেন। 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow