পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিতে এখনো অনেকটা ফাঁকা রাজধানী ঢাকা। ফলে মার্কেট, শপিংমলে নেই ক্রেতা-বিক্রেতার চিরচেনা কোলাহল। বেশিরভাগ মার্কেটই ফাঁকা, ক্রেতাশূন্য। ঈদের পর এখনো খোলেনি অনেক দোকান।
শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে রাজধানীর মিরপুর-১ নম্বরে মাজার কো-অপারেটিভ মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, হজরত শাহ আলী শপিং কমপ্লেক্স, মিরপুর নিউমার্কেট, মিরপুর শপিং কমপ্লেক্সসহ আশপাশের কয়েকটি মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
পাইকারি ও খুচরা পোশাকের জন্য সুপরিচিত মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেটের নিচতলায় পাওয়া যায় সব বয়সের নারী-পুরুষের পোশাক। ঈদের আগে এই মার্কেটে মানুষের এত ভিড় ছিল যে মার্কেটে প্রবেশ করাই ছিল প্রায় অসম্ভব। কিন্তু আজ সেখানকার বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ। যে কয়েকটি দোকান খোলা রয়েছে সেখানে অলস সময় পার করছেন ব্যবসায়ীরা।
বিক্রেতারা জানান, ঈদের ছুটি থাকায় এখনো সেভাবে বেচাকেনা শুরু হয়নি। কিছু ক্রেতা আসছেন, তবে তা নিতান্তই নগণ্য।
- আরও পড়ুন
স্বাভাবিক হয়নি ঢাকার যান চলাচল, এখনো যাত্রী স্বল্পতা গণপরিবহনে
ভ্যাপসা গরমেও চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড়
মিরপুর মাজার কো-অপারেটিভ মার্কেটের ব্যবসায়ী হেদায়েতুল্লাহ বলেন, আজ সকালে একজন ক্রেতাও পাইনি। নামাজের পর কয়েকজন এসেছিলেন। এই কয়দিন এমনই চলবে। আগামী রোববার থেকে আশা করছি বেচাকেনা বাড়বে।
মার্কেটগুলো বন্ধ থাকলেও দেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শো-রুম খোলা রয়েছে। তবে এসব শে-রুমেও ক্রেতা কম।
মিরপুর কাঁচাবাজার সংলগ্ন অ্যাপেক্সের শো-রুমের বিক্রয়কর্মী সোহাগ জাগো নিউজকে বলেন, ক্রেতা নেই বললেই চলে। জুমার নামাজের পর কিছু ক্রেতা এসেছিলেন।
একই চেহারা ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতেও। মিরপুর-১ নম্বরের মাজার রোডে এসব দোকানের কারণে যানজটের সৃষ্টি হয় সবসময়। তবে বেশিরভাগ দোকানই এখনো বসেনি। যে কয়েকটি আছে সেগুলোতেও ক্রেতা নেই।
ফুটপাতে জুতা বিক্রি করেন শাশীম। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, বিকেল ৩টায় দোকান খুলেছি। এখনো এক টাকার জুতাও বিক্রি করতে পারিনি। এটাই রুটি-রুজির সম্বল। রাতে হয়তো একটু বেচাকেনা হতে পারে।
এসআরএস/কেএসআর