চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন এবি পার্টি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু। বৈঠকে জুলাই সনদে স্বাক্ষর ও বাস্তবায়ন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোভাব, চীন-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় চীনের ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিকেলে রাষ্ট্রদূতের সরকারি বাসভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসরীন সুলতানা মিলি ও দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে এবি পার্টির প্রতিনিধি দলকে নিজ বাসভবনে স্বাগত জানান রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য কমিশনে বিস্তারিত আলোচনার পর এখন বল সরকারের কোর্টে। তারা বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে খুব শিগগিরই একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হবেন বলে আশাবাদী।
গণভোট, নির্বাচন ও দেশের ব্যবসায়িক স্থিতিশীলতা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা হয়। রাষ্ট্রদূত ইয়াও বিশ্বাস করেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ছাড়া দেশ তার স্থিতিশীলতা হারাবে। ফ্যাসিবাদী শাসনের পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে অর্থনৈতিক ভিত্তি পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে তা বিঘ্নিত হতে পারে।
এবি পার্টি এসব বিষয়ে একমত প্রকাশ করে এবং ঐক্যমত্য তৈরির লক্ষ্যে দলের নীতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে বিস্তারিত অলোকপাত করে।
রাষ্ট্রদূত ইয়াও আশা করেন যে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর এবং সেখানে জনগণের ইচ্ছা কার্যকরভাবে প্রতিফলিত হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতায় চীন পাশে থাকতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
আলোচনাকালে রাষ্ট্রদূত ইয়াওয়ের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের পলিটিকাল ডিরেক্টর ঝাং জিং এবং রাজনৈতিক কর্মকর্তা লিউ হংরু।

3 hours ago
5









English (US) ·