চুরির অভিযোগে গণপিটুনি, হাসপাতালে যুবকের মৃত্যু

2 hours ago 2

ঝিনাইদহে গণপিটুনির শিকার এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর হাসপাতালে সুজন মিয়া (২৭) নামে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে গত বুধবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল থেকে রোগীর ব্যাগ চুরির অভিযোগে স্থানীয়দের গণপিটুনির শিকার হন।

সুজন মিয়া মুন্সিগঞ্জের শ্রীপুর উপজেলার পূর্ববাগড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি ঝিনাইদহ শহরের খোন্দকারপাড়ায় নিজ শ্বশুর বাড়িতে বসবাস করতেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতে সদর হাসপাতালে রোগীর ব্যাগ চুরির অভিযোগে ওই যুবক গণপিটুনির শিকার হন। পরে বৃহস্পতিবার ভোরে অসুস্থ অবস্থায় শ্বশুর বাড়িতে ফিরে যান সুজন। পরে তিনি ঘুমের ওষুধ খান। এরপর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে সদর হাসপাতালের নিচতলায় তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন হাসপাতালের কর্মীরা।তবে কে বা কারা ওই যুবককে হাসপাতালে রেখে আসেন তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।

হাসপাতালের কয়েকজন কর্মী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে সুজনকে সদর হাসপাতালের নিচতলায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন অনেকে। পরে তাকে হাসপাতালের কর্মীরা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে তিনি। তবে গণপিটুনির শিকার হওয়ার পরদিন হাসপাতালের সামনে সুজনের পড়ে পড়ে থাকার ঘটনা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি তার স্বজনদের।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সুজন নামে ওই ব্যক্তি বুধবার গণপিটুনির শিকার হয়েছিল বলে শুনেছি। কিন্তু গণপিটুনির শিকার হয়ে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেননি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে হাসপাতালে পড়ে থাকতে দেখেন হাসপাতালের কর্মীরা। পরে সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হয়। এক পর্যায়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দুপুরে তিনি মারা যান। মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গণপিটুনির শিকার সুজনের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ এখনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শাহজাহান নবীন/এমএন/এমএস

Read Entire Article