চুরির মামলায় যুবলীগ কর্মী রাজু গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে মারধর ও চুরির মামলায় রাজু আহম্মেদ নামে এক যুবলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে তাকে কুড়িগ্রাম আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এর আগে সোমবার (২০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় ভোলা মোড় এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রৌমারী থানার এসআই আব্দুল আলিম খান গ্রেপ্তারের বিষয়টি কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।
রাজুর বড় ভাই জাকির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার একটি টেন্ডার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে গিয়েছিল। ওই অপরাধে বিএনপির লোকজন পুলিশকে খবর দিলে রাজুকে গ্রেপ্তার করে। সে আ.লীগ কিংবা অন্য কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
রৌমারী থানার এসআই আলিম খান বলেন, গত ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ মার্কার এমপি প্রার্থী আজিজুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারণাকালে উজেলার সুতির পার-বেহুলারচর মাঝামাঝি এলাকায় ওৎ পেতে থেকে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে লাঠি, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রসহ নির্বাচনী কর্মী বেলাল হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, জখম, চুরি, ক্ষতিসাধনের হুমকির অভিযোগ ওঠে।
তিনি বলেন, গত ১৮ জানুয়ারি ভুক্তভোগী বেলাল হোসেন বাদী হয়ে থানায় এজাহার নামীয় ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ১০০-১৫০ জনের নামে মামলা করেন। এ মামলায় রাজু আহম্মেদকে তদন্ত করে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় ইতোমধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার রাজু আহম্মেদ যুবলীগের সক্রিয় কর্মী। রাজু উপজেলার রৌমারী গ্রাম-উত্তরপাড়া এলাকার সাবেক পুলিশ সদস্য জামাল উদ্দিনের ছেলে বলে জানা গেছে।