চুয়াডাঙ্গায় ১২২ বস্তা জৈব সার পাচারের সময় জনতার হাতে আটক

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদে জৈব সার বিতরণ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে বিএনপির দুই গ্রুপ ও জামায়াত ইসলামীর দ্বন্দ্ব চলছিল। এরইমধ্যে মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ‘সুরক্ষা’ নামে অ্যাগ্রো ডায়মন্ড কোম্পানির ১২২ বস্তা জৈব সার নিয়ে যাওয়ার সময় সেগুলো আটক করে জনতা।

এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার ও সহসভাপতি খাদেমুল খোকনের নাম উঠে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে সারের ভুয়া প্রকল্প তৈরি করে পাচারের অভিযোগ উঠেছে। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করেছেন ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার।

এদিকে সার আটকের পর স্থানীয় বাঁকা ইউনিয়ন যুবদল নেতা রাজা ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, ‘বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি আবুল বাশার ও সহ-সভাপতি খাদেমুল ইসলাম খোকন ভুয়া প্রকল্প করে মাটিভর্তি সার বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। বিষয়টি মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় আজ ৪/২/২৫ ইং রাত আনুমানিক ৮ ঘটিকার সময় টিলারভর্তি করে সার পাচার করার সময় জনতার ধাওয়া খেয়ে গাড়িসহ ধরা খায়। এই চোরের দায়দায়িত্ব বিএনপি দল নেবে না। এই দুইজন বিএনপি নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’

বাঁকা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা মফিজুর রহমান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১২২ বস্তা সার চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করা হয়েছে। গাড়ির চালক এ ঘটনায় দুজনের নাম বলেছেন। আমাদের দাবি তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। ইউনিয়ন পরিষদেরও কেউ নই। চেয়ারম্যান বরখাস্ত হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তিনিই সারের অনুমোদন দিয়েছিলেন। আমাকে জড়িয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হলে তা মিথ্যা হবে।’

তবে অভিযোগ ওঠা বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি খাদেমুল খোকনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, পাওয়ার টিলারে করে সার নিয়ে যাচ্ছিল, এসময় স্থানীয় লোকজন আটক করেছে। আমরা জিডিমূলে সারগুলো থানা হেফাজতে রেখেছি। এই সারের উৎস কী, কোথা থেকে আসছে সেটি জানার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কয়েকজনকে ফোন দিয়েছিলাম, তবে তারা কিছু বলতে পারেননি।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল আমিন বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছি।

হুসাইন মালিক/এফএ/এএসএম