চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে চলমান অচলাবস্থার মধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। পিসিবি যদি আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়, তাহলে তারা আর্থিক ক্ষতি, আইনি জটিলতা এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
একজন সিনিয়র ক্রিকেট প্রশাসক পিটিআইকে জানিয়েছেন, পিসিবি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে এবং অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে ‘ম্যান্ডেটরি মেম্বার পার্টিসিপেশন অ্যাগ্রিমেন্ট’ (এমপিএ) মেনেছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, আইসিসির টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায়, আইসিসির রাজস্ব ভাগ থেকে পাকিস্তান বঞ্চিত হবে।
তিনি বলেন, ‘আইসিসি সম্প্রচার চুক্তির অধীনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তাদের সব সদস্য দেশ আইসিসির ইভেন্টে অংশ নেবে। বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মাধ্যমে বড় ধরনের রাজস্ব আসে এবং সম্প্রচারকারীরা এই ম্যাচের বাণিজ্যিক সম্ভাবনার ওপর ভিত্তি করেই দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির বিড করে থাকে।’
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে পাকিস্তান সরে দাঁড়ালে আইসিসি এবং অন্যান্য সদস্য দেশগুলো পিসিবির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে। এছাড়া, ১৬টি সদস্য বোর্ডের মধ্যে পাকিস্তান একঘরে হয়ে পড়তে পারে।
গত সপ্তাহে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য হাইব্রিড মডেলে সম্মতি জানালেও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও আসেনি। এই মডেলে ভারতের ম্যাচগুলো দুবাইয়ে আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তবে পিসিবির দাবি, এই হাইব্রিড মডেল পরবর্তী আইসিসি ইভেন্টগুলিতেও কার্যকর হতে হবে।
পিসিবির চেয়ারম্যান মহসিন নকভির ওপর চাপ বাড়ছে। কারণ অন্যান্য ক্রিকেট বোর্ড এবং আইসিসি ম্যানেজমেন্ট পিসিবির দাবির প্রতি সমর্থন দিচ্ছে না। আইসিসি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সঠিক সমাধান দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি পিসিবি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়, তবে তারা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেদের অবস্থান দুর্বল করে ফেলবে।