বিমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) নির্বাহী কমিটির নির্বাচনে ৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এর মধ্যে জীবন বিমায় ৫ জন এবং সাধারণ বিমায় একজন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার মধ্যেই তারা নিজেদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা জীবন বিমার ৫ প্রার্থী হলেন- প্রোগ্রেসিভ লাইফের ভাইস চেয়ারম্যান বজলুর রশীদ, বেস্ট লাইফের পরিচালক সৈয়দ বদরুল আলম, চার্টার্ড লাইফের মুখ্য নির্বাহী এস এম জিয়াউল হক, ট্রাস্ট ইসলামী লাইফের মুখ্য নির্বাহী মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন এবং রূপালী লাইফের মুখ্য নির্বাহী মো. গোলাম কিবরিয়া।
সাধারণ বিমা খাত থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন রূপালী ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক মোস্তফা কামরুস সোবহান।
জীবন বিমায় মোট ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫ জন মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় বাকি ৯ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে। সাধারণ বিমার একজন মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় এ খাতে মোট প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ২০ জন। ফলে সাধারণ বিমার নির্বাহী সদস্য নির্বাচনে হবে ভোট।
- আরও পড়ুন
অনিয়ম-দুর্নীতি করা কোম্পানির চেয়ারম্যান-পরিচালকরাই প্রার্থী
কর ও ভ্যাটের জটিলতা ব্যবসায়ীদের জন্য প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে
আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি বিআইএর ২০২৫-২৬ সময়ের নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত ২২ জানুয়ারি প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই শেষে চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আজ বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।
জীবন বিমায় বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন যারা
জীবন বিমার নির্বাহী সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যারা নির্বাচিত হচ্ছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন- সন্ধানী লাইফের চেয়ারম্যান মুজিবুল ইসলাম, ফারইস্ট ইসলামী লাইফের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, বেঙ্গল ইসলামি লাইফের ভাইস চেয়ারম্যান আমিন হেলালী, ডেল্টা লাইফের পরিচালক আদিবা রহমান, এনআরবি ইসলামিক লাইফের পরিচালক আরিফ সিকদার, পপুলার লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বি এম ইউসুফ আলী, প্রগতি লাইফের সিইও জালালুল আজিম, জেনিথ ইসলামি লাইফের সিইও এস এম নুরুজ্জামান এবং ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সিইও মো. কাজীম উদ্দিন।
সাধারণ বিমার প্রার্থী যারা
অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান কাজী শাখাওয়াত হোসেইন লিন্টু, সিটি ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান হোসেইন আখতার, ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান সাঈয়্যেদ আহমেদ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেইন, প্রভাতী ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান মো. মফিজুর রহমান, কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের ভাইস চেয়ারম্যান কে এম আলমগীর, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ইনভেস্টমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন জামাল, বাংলাদেশ ন্যাশনালের পরিচালক তায়েফ বিন ইউসুফ, জনতা ইন্স্যুরেন্সের পরিচালক বেলাল আহমেদ।
এছাড়াও রয়েছেন, এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের সিইও ইমাম শাহীন, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের সিইও আহমেদ সাইফুদ্দীন চৌধুরী, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের সিইও ফারজানা চৌধুরী, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্সের সিইও মো. নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, কর্ণফুলী ইন্স্যুরেন্সের সিইও এএনএম ফজলুল করিম মুন্সি, রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্সের সিইও ড. এ কে এম সরোয়ার জাহান জামিল, ইসলামি কমার্সিয়াল ইন্স্যুরেন্সের সিইও কাজী মোকাররম দস্তগীর, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের সিইও হাসান তারেক, সাউথ এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের সিইও মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী এবং স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের সিইও মো. আব্দুল মতিন সরকার।
এমএএস/কেএসআর