ছাত্র আন্দোলনে হামলা, যশোরে সাবেক এমপির বিরুদ্ধে মামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, মারপিট ও ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে যশোর কেশবপুরের সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল ইসলামসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক কেশবপুরের আলতাপোল গ্রামের আব্দুস সালাম বিশ্বাসের ছেলে মিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। কেশবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন, কেশবপুরের সাবদিয়া গ্রামের দবির হোসেনের ছেলে কবির হোসেন, বাবলু গাজীর ছেলে টিপু সুলতান, ব্রহ্মকাটি গ্রামের মৃত রফিক খন্দকারের ছেলে শরিফুল ইসলাম, জহর মোড়লের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন, তবিবর রহমানের ছেলে তুষার, আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে জমির হোসেন, আলতাপোল গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর কবিরের ছেলে সৌরভ হোসেন, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের হাসান, রাজার ছেলে আশিক, দীপু দাসের ছেলে সুজন দাস, খতিয়াখালি গ্রামের অধ্যায়িত দাসের ছেলে শ্রীকান্ত দাস, ব্যাশডাঙ্গা গ্রামের নিজামুদ্দৌলার ছেলে তানজিম, লক্ষ্মীনাথকাটি গ্রামের আলাউদ্দিন দফতরীর ছেলের তরিকুল ইসলাম, পাতরা পাথরা গ্রামের হালিমের ছেলে পারভেজ, কেশবপুর শাহাপাড়ার কার্তিক সাহার ছেলে প্রান্ত সাহা, মাগুরডাঙ্গা গ্রামের মারুফ হোসেন ও চিংড়া গ্রামের তুহিন রেজা।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির আলোকে দুপুর আড়াইটায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা কেশবপুর কলেজ মাঠে আসতে শুরু করে। বিকেল পৌনে ৩টার দিকে সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল ইসলামের নির্দেশে অপর আসামিরা কলেজ মাঠে জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেন। এ সময় হামলাকারী হাসান ও তানজিম সমম্বয়ক মিরাজুল ইসলামকে ছুরিকাঘাতের সময় ঠেকাতে গিয়ে অহিদুর রহমান অন্তু হাতে গুরুতর জখম হন। আসামি তরিকুল ইসলাম চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আব্দুল হালিমের মাথায় আঘাত করে জখম করেন। এছাড়া আসামি পারভেজ ও অপর আসামি পারভেজ রামদা দিয়ে কুপিয়ে সাহেদ আলী, মাছুম, মিরাজ ও পলাশকে জুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। অপর আসামিরা শিক্ষার্থীদের লাঠি, রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।

আহতদের প্রথমে কেশবপুর পরে কয়েকজনকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত পলাশকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সমন্বয়ক মিরাজুল ইসলাম ও অপর আহতরা চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে থানায় এ মামলা করেছেন।

মিলন রহমান/এফএ/জিকেএস