স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব এমএ আকমল হোসেন আজাদ বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রায় ৩০ হাজার যুবক আহত হয়েছে। ৭০০ জনের মতো চোখের দৃষ্টি হারিয়েছে। সরকারের দিক থেকে তাদের জন্য সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজিত মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুবদের ভূমিকা শীর্ষক জনসচেতনতামূলক অনুষ্ঠান ও যুব উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ হচ্ছে যুব সমাজ। এখানে যুব ও যুব নারী রয়েছে। দেশ গঠনে ও সুস্থতা রক্ষায় এ সমাজের ভূমিকা অপরিহার্য। দেশের এ সমাজের প্রায় ৫ কোটি ৩০ লাখ যুব ও যুবনারী যদি একসঙ্গে কাজ করে তাহলে আমরা কোথায় পৌঁছাবো সেটা আমাদের ভাবা উচিত।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, আমাদের দেশে যুব সমাজের মধ্যে যুবনারী সবচেয়ে কঠিন সময় পার করে। বাল্যবিবাহ থেকে শুরু করে অল্প বয়সে সন্তানের মা হওয়া, ঘরের ভেতরে ও বাইরে নির্যাতনের শিকার হওয়া, এটা যুবনারীর সঙ্গে প্রায়ই ঘটে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে ইভটিজিংয়ের শিকার যেমনটা হয়ে থাকে কর্মক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। এসব থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। যুবনারীদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। নির্যাতন প্রতিরোধ করতে যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলমের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার তাহমিনা আক্তার, রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের প্রতিনিধি মোহাম্মদ শরিফুর রহমান, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ প্রমুখ।
মঞ্জুরুল ইসলাম/এফএ/এমএস