জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদল ঘোষিত প্যানেলে হত্যা মামলার এক আসামিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) শাখা ছাত্রদল ঘোষিত জাকসুর পূর্ণাঙ্গ প্যানেলে ওই প্রার্থীর মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়।
মনোনয়ন পাওয়া অভিযুক্ত ওই প্রার্থীর নাম হামিদুল্লাহ সালমান। তিনি শাখা ছাত্রদলের বর্ধিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল ছাত্রদলের সভাপতি এবং ইংরেজি বিভাগের ৪৯ ব্যাচের ছাত্র। তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম মোল্লা হত্যা মামলার আসামি।
এ বিষয়ে হামিদুল্লাহ সালমান বলেন, ‘ওই হত্যাকাণ্ডে কোনোভাবেই জড়িত নই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনোরকম তদন্ত ছাড়াই মবের চাপে তড়িঘড়ি করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার নামে মিথ্যা মামলা দেয়। এ ঘটনায় আমাকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কারও করেছিল। এখন আমি নিয়মিত শিক্ষার্থী। ওই মামলা এখনো তদন্তাধীন। মামলার সঠিক তদন্ত হলে আমি নির্দোষ প্রমাণিত হব।’
হত্যা মামলার আসামিকে পদ দেওয়ার বিষয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর বলেন, ‘প্যানেলে জুলাই অভ্যুত্থানের যোদ্ধাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সালমান জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আমাদের হয়ে যুদ্ধ করেছেন। আর তার বহিষ্কারাদেশের সময় শেষ এবং সালমানের বিরুদ্ধে করা অ্যালিগেশনও প্রমাণিত হয়নি।’
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের (৩৯ ব্যাচ) ইতিহাস বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা শামীম মোল্লার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে আটজনের নামে হত্যা মামলা এবং তাদেরকে তাৎক্ষণিক সাময়িক বহিষ্কারও করে। গত ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় শামীম মোল্লা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হামিদুল্লাহ সালমানসহ অন্যদের ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করে প্রশাসন।
এএইচ/জিকেএস