ছাত্রদলের বহিষ্কৃত দুই নেতাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

6 hours ago 8

যশোরের ঝিকরগাছায় এক নারীকে গণধর্ষণের মামলায় বহিষ্কৃত দুই ছাত্রদল নেতাসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আবু সাঈদ।

অভিযুক্ত আসামিরা হলো, ঝিকরগাছার পটুয়াপাড়ার শরিফুল ইসলামের ছেলে ও গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আল মামুন হোসেন বাপ্পী, একই গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের বহিষ্কৃত দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, জাকির হোসেনের ছেলে জাবেদ হোসেন ও উজ্জ্বল হোসেনের ছেলে আমিনুর রহমান। চাজশির্টভুক্ত চার আসামিই কারাগারে রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী।

তিনি বলেন, ‘ঝিকরগাছার চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামির দেওয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় ওই চারজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।’

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বছরের ১৫ মার্চ দুপুরে ভুক্তভোগী নারী তার শিশু সন্তানকে নিয়ে বেনাপোলে অত্মীয়দের বাড়ি থেকে মণিরামপুর নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে গদখালি বাজারে নামেন ওই ভুক্তভোগী নারী। সেখানে একটি ফুলের দোকানে ইয়াসিন আরাফাত নামে যুবকের সঙ্গে পরিচয় ঘটে। দোকানে কথাবার্তার এক পর্যায়ে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে আসামি জাবেদ হোসেনের মোটরসাইকেলে তুলে দেয় আরাফাত। এপর অপর তিন আসামি একটি মোটরসাইকেলে তাদের পিছুপিছু যায়। আসামি জাবেদ তার গ্রামের লিচু বাগানে নিয়ে যায়। বিকেলে লিচু বাগানে আসামিরা তাকে গণধর্ষণ করে। ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষণকারীরা তার শিশু বাচ্চাসহ ফেলে রেখে চলে যায়। কিছুটা সুস্থ হয়ে ওই নারী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে ঝিকরগাছা থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি ওই নারীকে উদ্ধার করেন। পরে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে সন্ধ্যায় ওই চারজনকে আটক করা হয়।

দেশে আলোচিত মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণের কয়েক দিনের মধ্যে ঝিকরগাছায় ওই নারী ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর অভিযুক্ত ছাত্রদলনেতাদের বহিষ্কার করে সংগঠনটি। জড়িতদের বিচারের দাবিতে একাধারে কয়েকদিন যশোর ও ঝিকরগাছায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ভুক্তভোগী নারীর চিকিৎসা ও বিচার নিশ্চিতে তার বাড়িতে যান বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগমসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।

মিলন রহমান/জেএইচ

Read Entire Article