ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি নিলেন সেই ফুয়াদ, জানালেন বিয়ের কথা

4 months ago 59

ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক এক নেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনায় আসা ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। নিজ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

সোমবার (৩ জুন) রাতে সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে একই রাতে ফেসবুকে নিজের বিয়ের কথা জানান ওই ছাত্রলীগ নেতা।

ছাত্রলীগের অব্যাহতি পত্রে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, নিজ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতকে (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ) তার স্বীয় পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।

তবে এদিন রাতেই এই ছাত্রলীগ নেতা নিজের ফেসবুক আইডিতে বিয়ের সাজে এক নারীসহ স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘অন দ্য ওয়ে টু বি ম্যারিড।’

এর আগে এই ছাত্রলীগ নেতার কাছে বিয়ের সামাজিক স্বীকৃতি চাওয়ায় একই সংগঠনের ইডেন মহিলা কলেজের সাবেক এক নেত্রী মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছিলেন। তিনি এ ঘটনায় বিচার চেয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে অভিযোগ করেছেন। এছাড়া থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেছিলেন। এ নিয়ে ‘স্ত্রী’ দাবি সাবেক নেত্রীর, ‘প্রতারণা’ বললেন ছাত্রলীগ’ নেতা শিরোনামে জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।

তবে ছাত্রলীগের এই নেতা অভিযোগ অস্বীকার করে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করেছিলেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও অ্যাপের সাহায্যে তাকে ফাঁসানো হতে পারে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তরুণীর বিরুদ্ধে থানায় তিনটি জিডি করেছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন

অভিযোগের বিষয়ে ওই ছাত্রলীগ নেত্রী জাগো নিউজকে বলেছিলেন, ‘তার (শাহাদাতের) সঙ্গে আমার বিয়ে হয়েছে ২০১৬ সালে কক্সবাজারে। আমরা দীর্ঘদিন ঢাকায় একই বাসায় ছিলাম। এখন শাহাদাত এসব অস্বীকার করছেন।’

বিয়ের কাবিননামার বিষয়ে জানতে চাইলে তরুণী বলেন, ‘কাবিননামা আমার কাছে নেই। শাহাদাত আটকে রেখেছেন। যে কাজী বিয়ে পড়িয়েছেন তাকেও চিনি না। যারা সাক্ষী ছিলেন তাদেরও চিনি না। শাহাদাত এখন আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। আমি সামাজিক মর্যাদা (বিয়ের স্বীকৃতি) চাই।’

নিজের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা ফুয়াদ হাসান শাহাদাত বলেছিলেন, ‘তার (তরুণী) সঙ্গে পরিচয় ছিল। মাঝেমধ্যে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে দেখা হয়েছে। এখন অন্য কারও প্ররোচণায় তিনি আমার ক্যারিয়ার শেষ করতে চাইছেন। মান-সম্মানের ভয়ে তাকে বলেছি কিছু টাকা-পয়সা নিয়ে হলেও আমাকে যেন আর বিরক্ত না করেন। তিনি চাইছেন তার নামে যেন ঢাকায় ফ্ল্যাট কিনে দেই। এত টাকা আমি কোথায় পাবো!’

‘তাকে (তরুণী) বিয়ে করার প্রশ্নই আসে না’ জানিয়ে ছাত্রলীগের এ নেতা বলেন, ‘সব মিথ্য বলছেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি তিনি বিয়ের কোনো ডকুমেন্টস দেখাতে পারবেন না। উল্টো মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আমার সম্মান নষ্ট করছেন। আমি তার নামে মানহানির মামলা করবো।'

এনএস/বিএ/জেআইএম

Read Entire Article