ছাত্রলীগ নেতার মা খুন, বাবা রিমান্ডে
পঞ্চগড়ের বোদায় অরিনা বেগম (৪৫) নামে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের এক নেতার মাকে মাথায় আঘাত করে হত্যার অভিযোগে উঠেছে। এ ঘটনায় তার বাবাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (০৭ ডিসেম্বর) হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় নিহতের স্বামীকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার (০৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে বোদা উপজেলার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়য়ের কালিয়াগঞ্জ এলাকায় ছাত্রলীগের ইউনিয়ন সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান অমিতের মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান তার বাবা আবুল কালাম আজাদ। এ সময় তিনি চিৎকার করলে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে বোদা থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী আবুল কালাম আজাদকে আটক করে পুলিশ। পরে নিহত গৃহবধূর বড়ভাই রেজাউল করিম বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। তবে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, তিনি পরকিয়ার কারণে হত্যার শিকার হতে পারেন।
আবুল কাল আজাদের বড় ভাইয়ের মেয়ে ও ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদুজ্জামান অমিতের চাচাত বোন শাহনাজ বেগম বলেন, আমার চাচা-চাচীর মধ্যে ভাল সম্পর্ক ছিল। কে বা কারা তাকে হত্যা করল বুঝতে পারছিনা। তবে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে যে চাঁদা না দেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে। আসলে এমন কোন কিছুই না। আমরা এমন কোন ঘটনার কথাও জানি না।
বোদা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দীন বলেন, গৃহবধূ অরিনা হত্যার ঘটনায় তার বড়ভাই বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। বিজ্ঞ আদালতে আবেদনের মাধ্যমে আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিহত গৃহবধূ পরকীয়ার বলি হয়েছেন। তবে তদন্ত এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে হত্যাকাণ্ডের মুল রহস্য বের হবে বলে জানায় পুলিশ।