ছাত্রলীগ সম্পৃক্ততার দায়ে বাদ জুলিয়াস সিজার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে জুলিয়াস সিজারের নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততা এবং শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের কনফারেন্স কক্ষে ডাকসু নির্বাচনের নিরাপত্তা বিষয়ক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন। তিনি বলেন, স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী জুলিয়াস সিজারের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে আমলে নিয়ে তদন্ত করা হয়। তদন্তে তার বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাথে সম্পৃক্ততা এবং শিক্ষার্থী নির্যাতনের প্রমাণ মেলে।
চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও জানান, ট্রাইব্যুনালের সুপারিশ অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তারা জুলিয়াস সিজারের প্রার্থীতা বাতিলের প্রস্তাব দেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা তাদের না থাকায় বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে উপস্থাপন করা হয়েছে। বিচারাধীন থাকায় প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা থেকে জুলিয়াসের নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে। আগামীকাল সিন্ডিকেটে তার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এদিকে, আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি সংক্রান্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য সাত সদস্যের একটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
টাস্কফোর্সে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানীকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া সদস্য হিসেবে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. শহীদুল ইসলাম (শহীদুল জাহিদ), শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান, মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, সহকারী প্রক্টর ড. মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, তাসফিয়া আমান ও রেজাউল করিম সোহাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্বাচনকালীন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে এ টাস্কফোর্স কাজ করবে।