ছায়ানটের লোকসংগীত আসরে পরিবেশিত হলো দেশসেরা ৫ গীতিকবির রচিত গান । গীতিকবিদের মধ্যে আব্দুল লতিফ, মোমতাজ আলী খান, আব্দুল খালেক দেওয়ান, কানাইলাল শীল ও রশীদ উদ্দিনের রচিত গান দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের লোকসংগীত অনুষ্ঠান।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ছায়ানটের আয়োজনে শংকরে ছায়ানট সংস্কৃতি-ভবন মিলনায়তনে লোকসংগীত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। লোকসংগীতের অনুষ্ঠান সংগীত গুণী তপন কুমার মজুমদারকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
ছায়ানটের যুগ্ম সম্পাদক জয়ন্ত রায় গীতিকবিদের পরিচয় তুলে ধরেন একে একে।
গীতিকবি আব্দুল লতিফের রচিত গান ‘ভোলা মন আমার’ সম্মিলিত কণ্ঠে পরিবেশন করেন লোকসংগীত শিল্পীরা । এ ছাড়া একক সংগীত ‘সর্বনাশা পদ্মা নদী’ পরিবেশন করেন মতিউর রহমান বকুল, জোনাকী রানী শীল ‘অকুল গাঙে ভাটির তরী’, সরদার মো. রহমাতুল্লাহ ‘তোমার নাম লইয়া ধরিলাম’।
গীতিকবি মোমতাজ আলী খানের রচিত সংগীত ‘পৌষে বাও পাহাড়ি’ সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন লোকসংগীত শিল্পীরা। একক সংগীত পরিবেশন করেন ‘এই যে দুনিয়া কিসের লাগিয়া’ স্বপ্না রায়, ‘আমায় খুন কইরাছে’ সঞ্চিতা বর্মন, ‘আমার মন চিঠিটা লইয়ারে’ অভিবাঁধন দাস অর্ণ, ‘ওলো নাকের বিন’। দ্বৈত সংগীত পরিবেশন করেন পলাশ কুমার বিশ্বাস ও সবিতা রাণী চৌধুরী।
গীতিকবি আব্দুল খালেক দেওয়ানের রচিত সংগীত ‘রোজ প্রভাতে ঘুম ভাঙিতে’ সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন লোকশিল্পীরা। একক সংগীত পরিবেশন করেন নারায়ণ চন্দ্র শীলের ‘মা লো মা ঝি লো ঝি’, মুহাম্মদ কামরুল বাশার ‘ঘরখানা বেন্ধেছে কি কৌশলে’, মো. মানিক ‘সোনার বউ গো শুনছো নি’।
গীতিকবি কানাইলাল শীলের রচিত সংগীত ‘আমি ভাবি যারে’ সমবেত কণ্ঠে পরিবেশন করেন লোকশিল্পীরা। একক সংগীত পরিবেশন করেন ‘অসময়ে বাঁশি বাজায় কে’ শিপ্রা ভৌমিক এবং ‘তোমার লাগিয়া রে সদাই প্রাণ আমার কান্দে’ বিমান চন্দ্র বিশ্বাস।
গীতিকবি রশীদ উদ্দিনের রচিত সমবেত কণ্ঠে ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’ পরিবেশন করেন শিল্পীরা। নাজমুল আহসান তুহিন পরিবেশন করেন ‘ আমি বলবো কি শুনবে কে’, মহিতোষ কুমার মণ্ডল ‘সকল গোলমাল মিটে যাবে’ এবং আবুল কালাম আজাদ ‘এ বিশ্বমাঝে যেখানে যা সাজে’।
তবলায় সঙ্গত করেছেন অজয় দাস ও স্বরূপ হোসেন, কিবোর্ড বাজিয়েছেন রবিন্স চৌধুরী, বাঁশি বাজিয়েছেন মো. মামুনুর রশীদ, ঢোল বাজিয়েছেন দশরথ দাশ, দোতারায় রতন কুমার রায় এবং মন্দিরায় প্রদীপ কুমার রায়।