ছিনতাই ঠেকাতে গিয়ে চোখ হারালেন এসআই, তৃতীয় লিঙ্গের গ্রেফতার ৪

3 months ago 43

রাজধানীর পরীবাগে হিজড়াদের (তৃতীয় লিঙ্গ) হামলায় মো. মোজাহিদ নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) চোখ নষ্ট হওয়ার ঘটনায় রমনা মডেল থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে চারজন হিজড়াকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতাররা হলেন- তানিয়া, তন্নী ওরফে তিথী, কেয়া ও সাথী ওরফে পাভেল।

সোমবার (৩ জুন) নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত)।

তিনি বলেন, ৩০ মে রমনা থানার এসআই মোজাহিদসহ পুলিশের একটি দল পরীবাগ এলাকায় রাত্রিকালীন টহল ডিউটি করছিলেন। রাত অনুমান ৩টার দিকে সংবাদ আসে হিজড়াদের একটি দল একজন রিকশাওয়ালাকে প্রচণ্ডভাবে মারধর করে তার কাছ থেকে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এ খবরে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে হিজড়াদের কবল থেকে ওই রিকশাওয়ালাকে উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, এক পর্যায়ে হিজড়ারা পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে একটি ইট গিয়ে এসআই মোজাহিদের চোখে লাগে। এতে তার চশমার কাচ ভেদ করে তার চোখ মারাত্মকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পুরো চোখ থেতলে যায়। এতে তার ডান চোখটি নষ্ট হয়ে যায়।

‘বর্তমানে গুরুতর আহত এসআই মোজাহিদ রাজধানীর আগারগাঁওয়ের জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সেখানে তার চিকিৎসায় বোর্ড গঠন করা হয়েছে।’

ছিনতাই ঠেকাতে গিয়ে চোখ হারালেন এসআই, তৃতীয় লিঙ্গের গ্রেফতার ৪

আশরাফ হোসেন বলেন, এসআই মোজাহিদের মতো একজন তরুণ অফিসার সরকারি কর্তব্য পালন করতে গিয়ে আহত হওয়ার বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিএমপি কমিশনার অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছেন। তারা আশ্বস্ত করেছেন যে, আহত এসআই মোজাহিদের চোখের চিকিৎসার জন্য যা যা করণীয়, দেশে বা দেশের বাইরে, তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

রমনা বিভাগের ডিসি আরও বলেন, এ ঘটনায় ৩১ মে রমনা মডেল থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। মামলার পর মগবাজার রেলগেট এলাকায় তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ঘটনায় সরাসরি জড়িত তানিয়া, তন্নী ওরফে তিথী ও কেয়াকে গ্রেফতার করে রমনা থানা পুলিশ।

পরে রিমান্ড চেয়ে গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানো করা হয়। আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে গ্রেফতারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মগবাজার এলাকা থেকে হামলায় জড়িত অন্য অভিযুক্ত সাথী ওরফে পাভেলকে গ্রেফতার করা হয়।

হিজড়াদের মধ্যে যারা অপরাধের সঙ্গে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফ হোসেন।

টিটি/এমকেআর/এএসএম

Read Entire Article